Messi: বার্সা মস্ত বড় ভুল করেছে, মেসিকে ছাড়াতে

Published By: Khabar India Online | Published On:

 ফরাসি ক্লাব পিএসজি এখন তার নতুন ঠিকানা লিওনেল মেসি। গত আগস্টে দুই পক্ষের সম্পর্ক চুকে গেলেও, কিছুতেই থামছে না বার্সা-মেসি বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।

চলতি মৌসুম শুরুর আগে, চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও মেসি থেকে যেতে চেয়েছিলেন বার্সেলোনায়। তবে লা লিগার বেতন সংক্রান্ত আইন-কানুনের ফাঁদে পড়ে বার্সা মেসিকে ধরে রাখতে পারেনি। এখানেই অনেকে দোষ দেখছেন বার্সার, ক্লাবটির নব-নির্বাচিত সভাপতি হোয়ান লাপোর্তার।

যেই তালিকায় এবার যোগ দিলেন লাপোর্তার আগে বার্সার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ। মেসিকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত এখনো যেন হজম করতে পারছেন না ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত এই ব্যক্তি। স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোকে তিনি বলেছেন, ‘২০২০ সালে তাকে ধরে রাখতে লড়াই করেছে, এমন একজন হিসেবে বলছি, সে ক্লাবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেটা শুধু বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নয়, বরং আর্থিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবদান রাখার জন্যেও। তাকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তটা মস্ত বড় ভুল ছিল।’

আরও পড়ুন -  Winter Season: শীতের মৌসুমে জমে উঠুক দুধ খেজুর পিঠে

বার্সেলোনার একের পর এক ভরাডুবিতে মেসি অবশ্য ২০২০ সালেই বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন। তবে বার্তেম্যু প্রশাসন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে কিছুতেই ছাড়তে রাজি ছিল না। শেষে বিষয়টি যখন আদালত পর্যন্ত গড়াবার উপক্রম, তখন মেসিই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

আরও পড়ুন -  শুটিং শুরু করতে পেরে আনন্দে উচ্ছ্বসিত অঙ্কুশ ! রইলো ভিডিও

 বার্সা ছেড়ে মেসি গুরু পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিতে যাবেন, সেটা নাকি প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে বার্তোম্যু মেসিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন ইউরোপের অন্য কোনো ক্লাবে বার্সা তাকে যেতে ছাড়বে না। বার্তেম্যু বলছেন, ‘আমি মেসিকে বলেছিলাম, সে যদি জাভি বা ইনিয়েস্তার মতো কাতার, চীন বা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায়, তবে আমরা কথা বলতে পারি। কিন্তু তখনো মেসি কোনো দল ঠিক করেনি এবং সে চুক্তিহীন অবস্থাতেই যেতে চেয়েছিল।’

আরও পড়ুন -  Flying Motorcycle: উড়ন্ত মোটরসাইকেল! বাস্তবেই বাজারে আসতে যাচ্ছে

মেসি ধরে রাখার কৃতিত্ব নিজে নিলেও, বার্সেলোনার ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত নাম সম্ভবত এই বার্তেম্যু। তিনি সভাপতি থাকাকালীন বোর্ডের প্রশাসনিক ব্যর্থতায় অর্থনৈতিক কাঠামো দুর্বল হতে শুরু করে কাতালান ক্লাবটি। একের পর এক ভুল সাইনিং আর খেলোয়াড়দের উচ্চ বেতনে ক্লাবের কোষাগার অনেক ধরেই একদম ফাঁকা! একসময় ইউরোপের সবচেয়ে লাভবান ক্লাবটির মাথায় উল্টো এখন কয়েক শ কোটি টাকার ঋণের বোঝা।