নরওয়ের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে তীর-ধনুক নিয়ে এক ব্যক্তির হামলায় ৫জন নিহত হয়েছেন। এতে আরও দু’জন আহত হয়েছেন।
গতকাল ১৩ অক্টোবর (বুধবার) ইউরোপের স্ক্যানডেনেভিয়ান অঞ্চলের দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কংসবার্গ শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সূত্র বিবিসি
এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে ডেনমার্কের ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দ্রামেন শহরের একটি থানায় নিয়ে গেছে। কিন্তু হামলার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় বলছে পুলিশ।
এছাড়া হামলায় তীর-ধনুক ছাড়া অন্য কোনো অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
তবে স্থানীয় পুলিশ প্রধান ওয়েভিন্দ আস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে তিনি একাই এসব হামলা চালিয়েছেন।
হামলায় দুজন আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন। তবে এটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ কিনা, তদন্তে তাও খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
নরওয়েতে ২০১১ সালের পর এমন প্রাণঘাতী হামলা আর ঘটেনি। এক দশক আগে কট্টর ডানপন্থি আন্দ্রেই ব্রেইভিকের সেই হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের বেশিরভাগই ছিল কিশোর বয়সী।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কংসবার্গ থেকে আজ রাতে যে খবর এসেছে তা আতঙ্কজনক। আমি বুঝতে পারছি, অনেকেই ভীতসন্ত্রস্ত, কিন্তু এখন সবকিছু পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এ ঘটনার পর পুলিশ সদস্যদেরকে সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ের পুলিশ অধিদপ্তর।