কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক বিদ্যুৎ (পরিবহন পদ্ধতি পরিকল্পনা, উন্নয়ন এবং আন্তঃ-রাজ্য পরিবহন মাশুল পুনরুদ্ধার) আইন ২০২১ প্রকাশ করেছে। এই আইন বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যবস্থার পরিকল্পনা সম্প্রসারণের পথ সুগম করবে। পক্ষান্তরে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি সহজেই সারা দেশে পরিবহন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারবে।
বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থাগুলি সরবরাহ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে দীর্ঘমেয়াদী ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। অন্যদিকে, মাঝারি মেয়াদী ও স্বল্প মেয়াদী বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। দীর্ঘমেয়াদী ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতা বাড়ানো হয়। দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাঠামোর ওপর নির্ভর করে একাধিক সংস্থা পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন এবং বিপনন ব্যবস্থার মানোন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই সঙ্গে বর্তমান বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিকল্পনা কাঠামোর পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
নতুন এই আইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সহজলভ্য করে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে আন্তঃরাজ্য পরিবহন ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটানো যায়। এর ফলে, রাজ্যগুলির পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির সরবরাহে আরও নমনীয়তা আসবে। একই ভাবে প্রয়োজন ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে সরবরাহ ক্ষমতা বাড়াতে পারবে। বর্তমান বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে একাধিক প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। সেই অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে তাদের সুফলভোগীদের চিহ্নিত করার প্রয়োজন পড়বে না। অন্যদিকে, নতুন এই আইনে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন ও পরিবহন সংস্থাগুলি তাদের পরিবহন প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি স্থির করতে পারবে। রাজ্যগুলিও স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে পারবে এবং বিদ্যুৎ ক্রয় খাতে খরচের অর্থ আরও সদ্ব্যবহার করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ স্বল্প মেয়াদী ভিত্তিতে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এবং এক বছর অন্তর অন্তর ১০ বছর মেয়াদে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা স্থির হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যবস্থার পরিকল্পনার আরও সম্প্রসারণ, উন্নয়ন এবং পরিবহন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ খাতে খরচের অর্থ পুনরুদ্ধারে নতুন এই আইন প্রকাশ করেছে। এই আইনের উদ্দেশ্য হল, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহন ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগে উৎসাহিত করা। নতুন এই আইনটি দেশে বিদ্যুৎ বিপননের ক্ষেত্রে এক অনুকূল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। বিদ্যুৎ মন্ত্রক গ্রাহক অধিকার সম্পর্কিত আইন জারি করেছে, যার ফলে গ্রাহকদের বিলম্বিত মাশুল মেটানোর ঊর্ধ্বসীমা স্থির হয়েছে। সূত্রঃ পিআইবি।