উৎসবের মরশুমে করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে শুক্রবার সকালে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, গত বছরের মতন এই বছরও মণ্ডপ থাকবে দর্শক শূন্য।
রাজ্যে সর্বত্রই চলছে পুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর মাত্র ৫ দিন পরেই মহালয়া। তার মধ্যেই জনস্বার্থ মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বছরের মতন এই বছরও পুজোর মণ্ডপ থাকবে কোয়ান্টাইন্টমেন জোন হিসেবে অর্থাৎ মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’। দুর্গা পুজো থেকে কালী পুজো পর্যন্ত বহাল থাকবে এই নির্দেশিকা। শুধু তাই নয় পুজো কমিটির কারা কারা থাকবেন মণ্ডপে সেই তালিকা দিতে হবে পুলিশকে। সেক্ষেত্রেও গতবছরের মতনই বড় পুজোর ক্ষেত্রে ২৫ জন এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ১০ জন থাকতে পারবেন।
গতকালই পুজো উপলক্ষ্যে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে রাজ্যের করোনা বিধিনিষেধ। আগামী ৩০শে অক্টোবর পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকলেও, ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত নাইট কার্ফু প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করা হয় নবান্নের তরফ থেকে। অর্থাৎ কার্যত রাতেও ঠাকুর দেখার অনুমতি পাওয়া যায়। কিন্তু আজ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর পরিস্থিতি এমনটাই দাঁড়াচ্ছে যে, রাতে ঠাকুর দেখতে বেরলেও দর্শক শূন্য থাকবে মণ্ডপ। প্রসঙ্গত, গত বছর এক ব্যাক্তির জনস্বার্থ মামলার পর পঞ্চমীর দিন দর্শক শূন্য মণ্ডপ থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার মহালয়ার আগেই সেই পুরনো নির্দেশিকাই বহাল রাখার নির্দেশ।