কাঞ্চনের প্রথম সহধর্মিণী ছিলেন অনিন্দিতা দাস। তিনি নিজেও রুপোলি পর্দার জগতের একজন। দীর্ঘ ১৫ বছর হল তিনি এই রুপোলী জগতে পদার্পণ করেছেন। কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘দত্ত এবং বৌমা’-তে মুকুটের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
কাঞ্চনের সাথে সাড়ে সাত বছরের দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেছিলেন তিনি। কিন্তু সে সব কিছুই এখন অতীত। বহুকাল আগেই তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে জানান, “আমাদের সাড়ে সাত বছরের দাম্পত্য ছিল। বহুকাল বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না।” কিছুদিন আগে কাঞ্চন মল্লিক এবং তাঁর বর্তমান সহধর্মিনী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সরগরম চলছিল নেটদুনিয়া। কাঞ্চনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দেখুন, ওঁর জীবনে কী হচ্ছে, তা দেখার জন্য ওঁর পরিবার আছেন। এটা তাদের বিষয়। আমি মন্তব্য করার কেউ নই।” ‘কন্যাদান’ এবং ‘রোজা’ নামে ধারাবাহিকেও অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অনিন্দিতাকে। ছৌ নাচের গান নিয়ে গবেষণা করেছিলেন অনিন্দিতা। গবেষণা শেষে বিদেশে একটি কাজের সুযোগও পান তিনি।
কিন্তু তিনি অভিনয় করতে ভালোবাসেন এবং পড়াশোনা করতে পছন্দ করেন, তাই পছন্দের পরিবর্তে নিজের ভালোবাসাকেই প্রাধান্য দেন অভিনেত্রী। এই সিদ্ধান্তের জন্য তাঁর মনে কোনো আফসোসও নেই। নিজের পড়াশোনা শেষ করতে কিছু সময়ের জন্য রুপোলি পর্দা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এরপর ফের অভিনয় জগতে ফেরার যাত্রাপথ সহজ ছিল না তাঁর জন্য। তিনি বিকেলবেলা জানতেন না রাতের বেলা কি খাবেন, এমন সময়ের মধ্যে দিয়েও দিন কাটিয়েছেন তিনি।
মুম্বাইতে ওয়েব সিরিজে অভিনয় করার জন্য সুযোগ পান তিনি। কিন্তু অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করতে হবে দেখে সেই সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, “না। মানুষ পরিবারের জন্য বিয়ে করে। আমার তো পরিবার আছে।”