প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে বিদ্যালয়গুলিতে কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট পিএম পোষণ কর্মসূচি আরও পাঁচ বছর চালিয়ে যাওয়া/সংশোধন/পরিমার্জনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এই কর্মসূচি ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ পর্যন্ত আরও পাঁচ বছর চালিয়ে যেতে ৫৪ হাজার ৬১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ৫৪ হাজার ৬১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা এবং রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ৩১ হাজার ৭৩৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয় বহন করবে। অবশ্য, খাদ্যশস্য খাতে কেন্দ্রীয় সরকার আরও প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয় বহন করবে। এর ফলে, প্রকল্প খাতে মোট বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৯৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।
কমিটির বৈঠকে আজ প্রধানমন্ত্রী পোষণ কর্মসূচিতে সরকারি ও সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ পর্যন্ত রান্না করা গরম খাবার সরবরাহের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট এই কর্মসূচির সুবিধা বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে অষ্টম পর্যন্ত সমস্ত ছাত্রছাত্রী পেয়ে থাকে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই কর্মসূচি এতদিন পর্যন্ত মধ্যাহ্নকালীন আহার কর্মসূচি নামে পরিচিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী পোষণ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে সরকারি ও সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত ১১ লক্ষ ২০ হাজার বিদ্যালয়ের প্রায় ১১ কোটি ৮০ লক্ষ পড়ুয়া রান্না করা গরম খাবারের সুবিধা পাবে। ২০২০-২১ এ সরকার এই কর্মসূচিতে ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে। এর মধ্যে খাদ্যশস্য সংগ্রহ খাতে প্রায় ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পোষণ কর্মসূচির কার্যকরিতা আরও বাড়াতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে – সরকারি ও সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পড়ুয়াদের পাশাপাশি, প্রাক্-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আসা। ‘তিথি ভোজন’ উদ্যোগে উৎসাহিত করা হবে, যেখানে বিশেষ অনুষ্ঠান বা উৎসব উপলক্ষে সামুদায়িক অংশগ্রহণের মাধ্যমে পড়ুয়াদের বিশেষ খাবার দেওয়ার সংস্থান থাকছে। প্রকৃতি ও উদ্যান পালন সম্পর্কে শিশুদের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা অর্জনে বিদ্যালয়ে নিউট্রিশন গার্ডেন গড়ে তোলায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ৩ লক্ষেরও বেশি বিদ্যালয়ে নিউট্রিশন গার্ডেন বা পুষ্টি উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে। সমস্ত জেলার ক্ষেত্রেই এই কর্মসূচির সোশ্যাল অডিট বাধ্যতামূলক হচ্ছে। উন্নয়নে আগ্রহী জেলা সহ যে সমস্ত জেলায় রক্তাল্পতার প্রকোপ বেশি, সেখানে শিশুদের পরিপূরক পুষ্টির বিশেষ সংস্থান থাকছে। এই কর্মসূচি রূপায়ণে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং কৃষক উৎপাদন সংগঠনগুলিকে সামিল করতে উৎসাহিত করা হবে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শাকসব্জি দিয়ে খাবার তৈরির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর ফলে, স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে। এমনকি, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শাকসব্জি ও অন্যান্য পৌঁষ্টিক উপাদান পড়ুয়াদের জন্য বিদ্যালয় থেকে দেওয়া খাবারে ব্যবহার করা হবে। সূত্রঃ পিআইবি।