উৎসবের মরশুমে করোনার সংক্রামণ রুখতে এই বছরও করোনার বিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। সেই মর্মে শুক্রবার কলামন্দিরে পুজো কমিটি গুলির সঙ্গে বৈঠক সারেন লালবাজারের কর্তারা। তবে শুধু করোনার সংক্রামণ রুখতে নয়, পুজোর সময় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ বা আগুন লাগার মতন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই জন্যে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারপরই দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে শহরবাসী। শহরের বাইরে থেকেও পুজো দেখতে আসেন একাধিক মানুষ। তারা যাতে কোন ভাবে করোনা আক্রান্ত না হয় সেই দিকে নজর দেওয়ার জন্য পুজো কমিটি গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, প্রতিটি মণ্ডপকে যথেষ্ট ভাবে খোলামেলা রাখতে হবে। পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ আলাদা করতে হবে। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
দর্শনার্থীরা যাতে অবশ্যই মাস্ক পরেন, সেদিকে নজর রাখবেন মাস্ক ও ফেস শিল্ড পরা স্বেচ্ছাসেবকরা। এছাড়া পুজোর সকল ভলেনন্টিয়ারদের সকলদের করোনার দুটি ভ্যাক্সিন নেওয়া আবশ্যক। মণ্ডপসজ্জ্যা ছাড়াও এবার জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুতের ওপর। বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণে ইলেক্ট্রিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে CESC। সেখানো হচ্ছে, কীভাবে বিদ্যুতের তারের বিন্যাস করতে হবে। পুজোয় বৃষ্টি হওয়ার সম্বভনার কথা মাথায় রেখে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো দুর্ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড রুখতেও পুজো কমিটি গুলোকে দমকলের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছে লালবাজার আধিকারিকরা। ছবিঃ সংগৃহীত।