মালদা, ২৪ সেপ্টেম্বর । আদিবাসী অধ্যুষিত বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের ছাত্র ভর্তির সমস্যা সমাধানে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আসন বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে স্মারকপত্র দিলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শুক্রবার দুপুরে বামনগোলা ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে ছাত্রভর্তি সমস্যার সমাধান মেটাতে এই স্মারকপত্র দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় । উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়, সংগঠনের বামনগোলা ব্লক সভাপতি টোটন দাস সহ অন্যান্যরা।
এদিন বামনগোলা মোড় থেকে একটি বিশাল রেলি করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা । পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের অধিকাংশ ভর্তি হতে না পারা পড়ুয়ারা এদিনের মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে প্রথম বর্ষের ছাত্র ছত্রীদের ভর্তির সমস্যা সমাধানের বিষয়টি নিয়ে পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. পরেশনাথ দাসের সঙ্গে দেখা করে স্মারকপত্র তুলে দেওয়া হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, তপশিলিজাতি এবং উপজাতি অন্তর্ভুক্ত বামনগোলা এলাকার পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের অনার্স এবং পাসকোর্স মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা ১৫০০। কলেজে শুধুমাত্র কলা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু এই কলেজে ভর্তির আবেদন পড়েছে প্রায় চার হাজার। ইতিমধ্যে আবেদন পত্র পড়ুয়াদের কাছ থেকে গ্রহণ করে নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা অনুযায়ী ভর্তির কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাকি আবেদনকারী পড়ুয়ারা কিভাবে কলেজে ভর্তি হবে তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই ব্লক থেকে মালদা শহরের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। ফলে শহরের কলেজে গিয়ে ভর্তি হওয়া এবং দৈনিক যাতায়াতের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সমস্যাটা অনেকটাই পড়তে হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায় জানিয়েছেন , আদিবাসী অন্তর্ভুক্ত এই কলেজে কর্তৃপক্ষকে স্মারকপত্রের মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছে যে আবেদনকারী প্রত্যেকটি পড়ুয়াকে যাতে কলেজে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই কলেজের আসন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যাতে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়। এদিন পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বিষয়ে স্মারকপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. পরেশনাথ দাস জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট আসনের থেকেও ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদনপত্র অনেক বেশি পড়েছে। এক্ষেত্রে আদিবাসী অন্তর্ভুক্ত এই কলেজে এলাকার পড়ুয়াদের ভর্তির সমস্যা হয়েছে। এই কলেজে কমপক্ষে এক হাজার বাড়তি আসন বৃদ্ধি করার বিষয়ে ইতিমধ্যে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকে আমরা জানিয়েছি। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।