President: রাষ্ট্রপতি ২০১৯-২০’র জাতীয় সেবা প্রকল্প পুরস্কার প্রদান করলেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দ আজ ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০’র জাতীয় সেবা প্রকল্প পুরস্কার প্রদান করেছেন।

এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বলেন, মূলত ছাত্রজীবনকে ভিত্তি করেই মানবজীবনের চরিত্র গড়ে ওঠে। শিক্ষণ এক আজীবন প্রক্রিয়া। কিন্তু, ছাত্রজীবনেই মৌলিক ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। জাতীয় সেবা প্রকল্পকে স্বেচ্ছাধীন প্রয়াস হিসাবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা স্কুল ও কলেজ জীবনে সমাজ তথা দেশের সেবা করার সুযোগ পায়।

মহাত্মা গান্ধীর জন্ম শতবার্ষিকী ১৯৬৯ সালে জাতীয় সেবা প্রকল্পের সূচনা হইয়েছিল বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মহাত্মা গান্ধী মানবতার সেবায় আজীবন ব্রত ছিলেন। তাই, আমাদের যুবারাও দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে উঠবেন এবং নিজেদের সক্ষমতা উপলব্ধি করবেন – আমি এটাই কামনা করি। গান্ধীজী মনে করতেন, নিজেকে জানার সবচেয়ে ভালো উপায় হ’ল অন্যের সেবা করা। প্রকৃত পক্ষেই গান্ধীজীর জীবন মানবসেবার এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর আদর্শ ও সেবার মানসিকতা আজও সমান প্রাসঙ্গিক এবং আমাদের সকলের কাছে প্রেরণার উৎস।

আরও পড়ুন -  সারা দেশে ১.৮ কোটিরও বেশি কোভিড-১৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে

শ্রী কোবিন্দ কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার গোড়ার দিকে কথা উল্লেখ করে বলেন, সে সময় ব্যাপকভাবে দেশে মাস্ক উৎপাদন শুরু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় সেবা প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি মাস্ক তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন অংশে বিলি করা হয়। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছা সেবকরা হেল্প লাইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কোভিড সম্পর্কিত তথ্য দিয়েছেন। এমনকি, সচেতনতা ও ত্রাণের কাজেও জেলা প্রশাসনগুলিকে সাহায্য করেছেন।

আরও পড়ুন -  Sandwich Shoes: ‘স্যান্ডউইচ জুতা’ ফ্যাশন দুনিয়ায়

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী সারা দেশে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব হিসাবে উদযাপিত হচ্ছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান নিয়ে স্বেচ্ছা সেবকরা ওয়েবিনার ও সেমিনার আয়োজন করছে জেনে শ্রী কোবিন্দ সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আদর্শ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করা আখেরে দেশ সেবারই সামিল।

আরও পড়ুন -  Madhumita Sarcar: অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার, বিয়ে সেরে ফেললেন চুপিসারে! দ্বিতীয়বার

উল্লেখ করা যেতে পারে, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ক্রীড়া মন্ত্রক ১৯৯৩-৯৪ সালে জাতীয় সেবা প্রকল্পের রজত জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে জাতীয় স্তরে এই পুরস্কার চালু করে। এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য হ’ল বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের স্বেচ্ছায় সমাজ সেবার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যকে স্বীকৃতি জানানো। সূত্রঃ পিআইবি।