সদ্য দ্বিতীয়বার বাবা হয়েছেন অভিনেতা। নুসরতের সন্তানের বাবা এখন যশ তা খাতায় কলমে প্রমাণিত। আপতত নিজের নতুন সিনেমা ‘চিনে বাদাম’ ছবির শ্যুটিং আর নিজের ‘স্ট্রেস বাস্টার’ ঈশানের সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত যশ। পাশাপাশি ঈশানের মাম্মাকেও সময় দিচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার সবাইকে চমকে দিলেন৷ বিশেষ করে একঝাঁক খুদে ফ্যানেদের। পিতৃত্বের অনুভূতি যশের কাছে নতুন নয়, ঈশানের আগে একটি ন’বছরের ছেলে রয়েছে। আর এই ছেলে যশের সাথেই থাকেন। দ্বিতীয়বার বাবা হয়ে, সেই সব খুদেদের কথা এক্কেবারে ভুলে যাননি যশ, যাঁরা বাবা-মা হারা। সেই অনাথ শিশু, কিশোরীদের সঙ্গে সময় কাটাতে মঙ্গলবার ভবানীপুরের প্রেরণা শেল্টার হোমে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেতা যশ। শেল্টার হোমের সকল মেয়েদের বয়সই ৬ থেকে ১৮’র মধ্যে। এদিন নিজের মেয়েদের জন্য তৈরি এই শেল্টার হোমের অধিকাংশ বাচ্চাই যশ দাশগুপ্তের অনুগামী। সেই খবর অনেকদিন আগেই পৌঁছেছিল যশের কানে। তাই তো সময় বার করে সকলকে সারপ্রাইজ দিতে সশরীরে সেই শেল্টার হোমে পৌছে যান অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। এদিন কচিকাঁচাদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটালেন যশ। আর প্রিয় অভিনেতাকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা এই শেল্টার হোমের কুঁচোরাও। এই খুদে অনুগামীরা পছন্দের অভিনেতার ছবি কাগজ থেকে কেটে নিজেদের ডায়েরিতে সেঁটে রাখেন তাঁরা, সুযোগ পেলে যশের ছবির সংলাপ গুলি খেলার সময়ে আওড়ায়। এদিন সেইসব প্রিয় অভিনেতা যশের সামনে পেশ করল তাঁরা। এদিন সকল বাচ্চাদের জন্য বিশেষ কিছু উপহার নিয়ে এসেছিলেন যশ। সবার হাতে এদিন খাবারের প্যাকেট তুলে দেন অভিনেতা। হাসিমুখে সবার সাথে সেলফি তোলেন এমনকি অটোগ্রাফও দেন প্রত্যেককে। মঙ্গলবার এই শেল্টারের কুঁচোদের সাথে আড্ডায় মেতেছিলেমন। মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে বিশেষ জোর দিয়েছেন যশ। এদিন শেল্টার হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এদের পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করেন যশ। তিনি এই আশ্রমের কর্তৃপক্ষকে ভরসা দিয়েছেন ভবিষ্যতে এদের শিক্ষার জন্য আর্থিক বা যে কোনওরকম সাহায্যের জন্য সবসময় পাশে থাকবেন।