সোনার আমদানি শুল্ক কমিয়ে শিল্প সংস্থাগুলিকে অগ্রগতির পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে : অনুপ্রিয়া প্যাটেল

Published By: Khabar India Online | Published On:

স্বর্ণালঙ্কার ক্ষেত্র ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। জিডিপি-তে এই ক্ষেত্রের অবদান প্রায় ৭ শতাংশ। এমনকি, দেশের মোট রপ্তানি বাণিজ্যের ১০-১২ শতাংশ রত্নালঙ্কার ক্ষেত্রের দখলে। এই কারণেই স্বর্ণালঙ্কার ক্ষেত্র কর্মসংস্থানের দিক থেকে অগ্রণী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এই ক্ষেত্রে দক্ষ ও অদক্ষ মিলিয়ে মোট কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ।

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী অনুপ্রিয়া প্যাটেল বলেছেন, দেশে কাঁচামালের পর্যাপ্ত উৎপাদন না থাকা সত্ত্বেও ভারত হীরে উৎপাদন ও রপ্তানি ক্ষেত্রে অগ্রণী দেশ হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে, সোনা, রূপা ও অন্যান্য রত্নের রপ্তানিতেও এগিয়ে রয়েছে। তাই, রত্নালঙ্কার ক্ষেত্র ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি আরও জানান, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় রত্নালঙ্কার ক্ষেত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। একই সঙ্গে, গত বছরের এপ্রিল মাসে সারা দেশে কঠোরভাবে লকডাউন থাকার দরুণ রপ্তানির পরিমাণ রেকর্ড প্রায় ৯৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অবশ্য, এই প্রেক্ষিতে রত্নালঙ্কার রপ্তানিকারীদের প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং এই ক্ষেত্রের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করেছে।

আরও পড়ুন -  অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ

সরকারি পদক্ষেপের ফলে রত্নালঙ্কার ক্ষেত্রে রপ্তানি-মন্দা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা গেছে। তিনি জানান, গত অর্থবর্ষে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে রপ্তানি ৬ শতাংশ কমে যায়। প্রথম ত্রৈমাসিকে রপ্তানি ৭২ শতাংশ হ্রাস পায়। কিন্তু, চতুর্থ ত্রৈমাসিক থেকে এই ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে অগ্রগতি হতে থাকে এবং রপ্তানি প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। রপ্তানিতে বৃদ্ধির এই প্রবণতা চলতি বছরেও অব্যাহত রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-২২ এর প্রথম ত্রৈমাসিকে রপ্তানির পরিমাণ প্রাক্‌-কোভিড সময়ের সমতুল বা ৯.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন -  Cyclone Biparjoy: লণ্ডভণ্ড গুজরাট বিপর্যয়ের তাণ্ডবে, বিদ্যুৎহীন অনেক এলাকা

কেন্দ্রীয় সরকার রত্নালঙ্কার ক্ষেত্রে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে – সংস্কারসাধিত স্বর্ণ নগদীকরণ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি চালু হওয়ার ফলে সোনা ও হলমার্ক-বিশিষ্ট সোনার আমদানি শুল্ক হ্রাস পেয়েছে। পক্ষান্তরে, শিল্প সংস্থাগুলির পরবর্তী পর্যায়ে অগ্রগতি ঘটেছে। শ্রীমতী প্যাটেল আরও জানান, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে না কেবল রত্নালঙ্কার শিল্প ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে, সেই সঙ্গে রপ্তানির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এর ফলে, আগামী বছর রত্নালঙ্কার রপ্তানির পরিমাণ ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  Donbass: দোনবাস নরকে পরিণত: প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

রত্নালঙ্কার রপ্তানি ক্ষেত্রের সংগঠন জিজেইপিসি গত বছর ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করে। এ ধরনের কর্মসূচি আয়োজনের উদ্দেশ্যই ছিল মহামারীর প্রাভব দ্রুত কাটিয়ে উঠে শিল্প সংস্থাগুলিতে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনা। সংগঠনটি কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর সময় থেকে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করে এসেছে। এ প্রসঙ্গে শ্রীমতী প্যাটেল জানান, ভারতীয় রত্নালঙ্কার উৎপাদক সংস্থাগুলি বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের রত্নালঙ্কার প্রদর্শন করেছে। সেই সঙ্গে, বাজারে চাহিদা সম্পর্কেও অবগত হয়েছে। তিনি উৎসব মরশুম শুরু হওয়ার আগে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের জন্য এ ধরনের আরও কর্মসূচি আয়োজনের পরামর্শ দেন। সূত্রঃ পিআইবি।