Afganisthan: ফুরিয়ে আসছে খাবার, ১০ লাখ শিশু রয়েছে মৃত্যুঝুঁকিতে, হুঁশিয়ারি দিলো জাতিসংঘ

Published By: Khabar India Online | Published On:

শীত আসার আগেই আফগানিস্তানের লাখ লাখ মানুষের খাবার ফুরিয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেছেন, তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানো না গেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ শিশু মারাও পড়তে পারে।

সোমবার জেনিভায় জাতিসংঘের এক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আফগান সংকট নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি এসব বলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

গুতেরেস বলেন, তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে দারিদ্র্যের হার হু হু করে বাড়ছে। জনসাধারণের জন্য থাকা সাধারণ সরকারি পরিষেবাগুলো ধ্বংসের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধে অনেকে ঘরহারাও হয়েছেন।

আরও পড়ুন -  মাশরাফি বিন মুর্তজার স্ত্রী সুমনা হক সুমি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন

“কয়েক দশকের যুদ্ধ, দুর্ভোগ আর নিরাপত্তাহীনতার পর তারা (আফগান) সম্ভবত তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়ের মুখোমুখি,” বলেছেন তিনি।
জাতিসংঘের এ মহাসচিব বলেছেন, এখন প্রতি ৩ আফগানের একজন জানেন না, পরের বেলার খাবার কোথায় মিলবে।

সোমবার জেনিভাসময় সন্ধ্যার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গুতেরেস জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগানিস্তানে ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের জরুরি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

আরও পড়ুন -  ৪৮ ঘন্টা নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড আফগানিস্তানে খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাতে করা নতুন তহবিলে ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, আফগানিস্তানের শিশুদের ঝুঁকিই এখন সবচেয়ে বেশি।

“কোনোমতে বেঁচে থাকতে দেশটির প্রায় এক কোটি ছেলে-মেয়ে মানবিক ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। চলতি বছরই অন্তত ১০ লাখ শিশু ভয়াবহ পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত হতে পারে এবং চিকিৎসা ছাড়া মারা পড়তে পারে,” বলেছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েতা এইচ ফোর।

আরও পড়ুন -  Redmi-র এই স্মার্টফোন ১ মিলিয়ন বেশি বিক্রি হয়েছে, অবিশ্বাস্য ফির্চাস দাম জেনে নিন

ঝড়ের গতিতে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্য তালেবান যোদ্ধারা দেশের সিংহভাগের নিয়ন্ত্রণে নিলেও তার আগে থেকেই খরার কারণে সৃষ্ট খাদ্য সংকট মোকাবেলায় আফগানিস্তানকে হিমশিম খেতে হচ্ছিল।

দুর্যোগের কারণে দেশটি ৪০ শতাংশ ফসল হারিয়েছে বলে অনুমান বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির। গমের দাম বেড়ে গেছে ২৫ শতাংশ। দাতা সংস্থাগুলোর মজুদে থাকা খাবারও চলতি মাসের শেষ নাগাদ ফুরিয়ে যেতে পারে।