করোনা একেবারে তলানিতে, তবুও কেন নির্বাচন হচ্ছে না ? কমিশনের কাছে আর্জি পেশ তৃণমূলের

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   নভেম্বর মাসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জিতে আসতেই হবে কিন্তু উপ নির্বাচন নিয়ে নানাভাবে গড়িমসি করে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কিছুদিন আগে যশবন্ত সিনহা বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিপাকে ফেলার জন্যই এই গড়িমসি করে চলেছে নির্বাচন কমিশন। তাহলে কি যশবন্ত সিনহার কথা সত্যি হতে চলেছে? কিন্তু এতো সহজে হার মানার পাত্র নয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই ইস্যু নিয়ে এবার একেবারে তেড়ে-ফুঁড়ে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নভেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যের সাত কেন্দ্রে উপ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু বলা হচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে এই কেন্দ্রগুলি সম্পূর্ণরূপে করোনা শূন্য হয়ে গিয়েছে। সেই রিপোর্ট নিয়ে সরাসরি কমিশনকে চিঠি লিখে ব্যাপারটি নিয়ে অবগত করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন -  Lata Mangeshkar: স্তব্ধ কোকিলকণ্ঠ, প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর

উপ নির্বাচন না করার ক্ষেত্রে কমিশনের মূল টালবাহানার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে করোনা। কিন্তু উপ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস যে আর বাধা নয় তা উল্লেখ করে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে আর্জি জমা দেবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দু শেখর রায়ের তরফ থেকে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবিধি পালন করে বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন কীভাবে সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চেয়ে পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুন -  চালু হচ্ছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প, ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আগামী 30 আগস্ট এর মধ্যে নিজেদের মতামত সেখানে জানাতে হবে। মনে করা হচ্ছে সেখানে এই তথ্য তুলে ধরবে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও শুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত মতামত যথাসময়ে জানিয়ে দেবে শাসকদল নিজেই। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে একেবারেই তলানীতে।যখন বড় নির্বাচন নেওয়া হয়েছিল সেই সময়কার করোনাভাইরাস, আর এখনকার করোনাভাইরাস এর মধ্যে বিস্তর তফাৎ। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছে, তখন যদি নির্বাচন নেওয়া যায় তাহলে এখন কেন নয়?

যদি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই করোনা ভাইরাসের সময় কালে এই ভাইরাসকে ঢাল বানানো হয়েছে। তারা বলেছিল তারা এই মুহূর্তে ন্যূনতম ঝুঁকি নিতে নারাজ। অথচ, যখন করোনাভাইরাস চরম পর্যায়ে ছিল, সেই সময়ও তারা সেই ৮ দফাতেই নির্বাচন করেছিল।তার ফলে করোনা একেবারে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল। যে বিশেষ ‘কারণে’ ৮ দফায় নির্বাচন করা হয়েছিল, সেই ‘কারণ’টিকেই মানুষ যে গ্রহণ করেনি সেটা নির্বাচন কমিশন, সেই নির্দিষ্ট ‘কারণ’ আর বাংলার সমস্ত ‘সচেতন জনতা’র কাছে কার্যত জলের মতো স্পষ্ট। আর সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা যুক্তি, তখন যদি নির্বাচন নেওয়া যায় তাহলে এখন কেন নয়? এবার নির্বাচন কমিশন কি করে, বর্তমানে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা।

আরও পড়ুন -  Hackers: নতুন কৌশলে হ্যাকাররা ঝুঁকছে !