খাস কলকাতায় বোমাবাজি, ধারালো অস্ত্রের কোপ, চাঞ্চল্য অভিজাত এলাকায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   খাস কলকাতার অত্যন্ত অভিজাত এলাকা কসবায় পরপর বোমাবাজিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গোটা রাসবিহারী চত্বরে। জানা গিয়েছে, কসবা থানা এলাকার ঢিলছোড়া দূরত্বে এই বোমাবাজি ঘটেছে। সম্প্রতি অপরাধ দমন বৈঠকে কলকাতার নগরপাল রাতের শহরে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও এ রকম একটি ঘটনা ঘটার পরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কসবায় এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজি করেছে বলে খবর। শনিবার মাঝরাতে কসবা থানা এলাকার ঢিলছোড়া দূরত্বে ত্রিবর্ণ এলাকায় এই বোমাবাজি ঘটেছে। এই বোমাবাজির কারণে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তিন জন জখম হয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন তিনজন। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। এই বোমাবাজি এবং ধারালো অস্ত্রের কোপ হওয়ার পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন -  এ বছর অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ মোট রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা

সারা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন জারি করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কসবা থানা এলাকায় যেখানে বোমাবাজি হয়েছে সেখানে এখনো কাঁচের টুকরো, ইট এবং রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। বোমার শব্দ গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। অনেকের এই বোমার শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছে। শুধুমাত্র এলাকা দখল করা নয় পুরনো শত্রুতা থেকে এই সংঘর্ষ ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে অনেকেই মনে করছেন পুলিশ যদি আগেই ব্যবস্থা নিতে তাহলে এই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যেত।

আরও পড়ুন -  জনপ্রিয় হচ্ছে ‘নিম্বু খারবুজা ভাইল ২‘ গানটি, স্বপ্না চৌহানের সঙ্গে ‘ব্র্যাথটেকিং ইশক‘ করলেন খেসারি লাল যাদব

স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রমোটিং করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চরমে। গভীর রাতে বড় আকার ধারণ করে সেই সমস্যা। কে কোথায় প্রমোটিং করবে সেই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। তারপরেই এলাকার দুষ্কৃতীরা জড়ো হতে শুরু করে। রাতারাতি মারধর থেকে বোমাবাজিতে পরিণত হয় সম্পূর্ণ বিষয়টি। বোমা ছোড়া হয়েছিল সাত-আটটি মত। অন্যদিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকজন কে কোপানো হয় বলে খবর। বর্তমানে গোটা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কড়া নজরদারির মধ্যে রয়েছে কসবা।

আরও পড়ুন -  Durga Pujo: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি