কলার থেকেও শতগুণ বেশি উপকারী খোসা !

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। ওজন কমানো থেকে শুরু করে শক্তিবৃদ্ধি সহ সকল ক্ষেত্রে ডায়েট চার্টে ফল থাকে সবার উপরে। তেমনই হচ্ছে কলা। তবে অবাক করার বিষয় হলো কলার থেকে বেশি উপকারী কলার খোসা! সম্প্রতি ডায়েটিশিয়ানরা এমনই দাবি করেছেন।

কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬, বি-১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম মানুষের হজমজনিত সমস্যা সমাধান করে থাকে। ঠিক তেমনই কলার খোসায় থাকা প্রচুর পরিমাণ ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন -  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, খুব শীঘ্রই মাদার ডিয়ারি নাম পরিবর্তন করে তারা বাংলা ডেয়ারি করতে চলেছেন

কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে, কলার পুডিং, মাফিন, কেক বেশ উপকারী। যেভাবেই কলা খাওয়া হোক না কেন কলার খোসা কিন্তু ফেলে দেয়া হয়। অথচ কলার খোসাতেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সংক্রমণ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। এছাড়া খোসায় থাকা লুটিন নামক পদার্থ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আরও পড়ুন -  Nails: হট অয়েল ম্যানিকিওর করে, নখ ভালো রাখুন

সবুজ না হলুদ, কোন খোসা উপকারী ?

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সবুজ খোসার থেকে হলুদ খোসা বেশি উপকারী। হলুদ খোসা শ্বেতকণিকার পরিমাণ ঠিক রেখে ক্যানসার মোকাবিলায় সহায়তা করে। সবুজ খোসার ক্ষেত্রে ১০ মিনিট সেদ্ধ করে নিয়ে খাওয়ার ফলে উপকার ভালো পাওয়া যায়। এছাড়া সবুজ খোসায় থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপ্টোফ্যানের জন্য রাতে অনেক ভালো ঘুম হয়। এমনকি সবুজ খোসায় থাকা সেরোটোনিন অবসাদ নিরসনেও সক্ষম এবং ডোপামিনের সাহায্যে কিডনিতে রক্ত চলাচলেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন -  High Risk: ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশ থেকে আসা ৬ জনের করোনা শনাক্ত

কলার শাঁস ও খোসা একইভাবে খাওয়া যায়। এছাড়াও ব্যানানা পিল স্মুদি উইথ আইসক্রিমও আজকাল স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। কেউ কাঁচা খোসা খেয়ে থাকেন আবার কেউ সেদ্ধ খোসা খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।