তালিবান শাসনে আফগান মহিলাদের কি হবে ? বড়ো ঘোষণা তালিবান মুখপাত্রের

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করার পরে পুরোদমে সরকার গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে তালিবান। ইতিমধ্যেই হিন্দুকুশ পর্বত মালার মাঝে পাঞ্জাশির প্রদেশ ছাড়া বাকি সম্পূর্ণ আফগানিস্তান বর্তমানে তালিবানের হাতে। আর এই সময়ে সরকার গঠনের প্রস্তুতির পড়ে সরাসরি আন্তর্জাতিক মহলের স্বকৃতি আদায়ের দিকে মুখিয়ে রয়েছে বর্তমানে তালিবান।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে সবাইকে ক্ষমা করার বার্তা দিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তিনি জানিয়েছেন, তার সঙ্গে আর কোনো শত্রুতা কারণেই। তাই ইসলামিক এমিরেটস শীর্ষ নেতৃত্বে নির্দেশে সবাইকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে তালেবান জঙ্গীগোষ্ঠী।

আরও পড়ুন -  ভারতের বাইক মার্কেটের সবথেকে জনপ্রিয় বাইক

সরাসরি দাবি করা হয়েছে, যারা অন্য দেশ থেকে আসবেন এবং অন্য দেশের রাষ্ট্রদূত হবেন তারা আফগানিস্থানে একেবারে সুরক্ষিত থাকবেন।

কিন্তু এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন যেটা, সেটা হল তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের মহিলাদের অবস্থান কি রকম হবে? সেই প্রসঙ্গে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বললেন, “মহিলাদের যেখানে প্রয়োজন হবে, যেমন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা কাজ করতে পারবেন। তবে সবাইকে শরীয়ত আইন মানতে হবে।’ এছাড়াও তার দাবি, ‘তালিবানের বেঁধে দেওয়া নীতি অন্য দেশকে মান্যতা দিতে হবে। তবে জাবিউল্লাহ দাবি করেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে কিন্তু তালিবান কোনভাবেই বিপদজনক নয়। তাই তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন -  বিমান হামলার আগে অনুমতি নিতে হবেঃ তালেবান

তবে জাবিউল্লাহ দাবি করেছেন, আফগান জনগণ তাদের ইসলামিক আইন সম্পূর্ণরূপে মেনে নেবেন। তাদের দাবি নাকি আফগানিস্তানের মহিলারা ইতিমধ্যেই তালিবানের সমস্ত আইন মেনে নিয়েছেন। তালিবান সমাজের এবং আফগান মূল্যবোধের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নিয়মকানুন প্রণয়ন করা হবে আফগানিস্থানে।

আরও পড়ুন -  Ram Mandir: খরচ হয়েছে ১১০০ কোটি টাকা রাম মন্দির নির্মাণে, এখনোও বাকি রয়েছে