খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে ব্যঙ্গ করতে গিয়ে এবারে নিজেই হাস্যরসের খোরাক হয়ে উঠেছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অন্যান্যদের অপমান করে বিভিন্ন মন্তব্য করা নিয়ে। এর আগে তিনি রগড়ে দেওয়া, গরুর দুধের সোনা, কাউন্সিলরকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখা ইত্যাদি নানা রকম মন্তব্য করে বিতরকের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন। তারপরে আবার সংসদের সামনে হাতে একটি প্ল্যাকার্ড ধরে তৃণমূলের একটি প্রকল্পের বিরোধিতা করতে দেখা গেল তাকে।
প্রকল্পটির নাম কন্যাশ্রী, কিন্তু দীলিপবাবু লিখেছেন কন্নাশ্রী। তাই এই প্রতিবাদ অনেকটাই ফিকে হয়ে গেলো ওই ভুল বানানটি কারণে। কিন্তু দিলীপ ঘোষের বানান ঠিক করা তো দরকার, আফটার অল উনি তো সাংসদ। তাই এবারে দিলীপ ঘোষের বানান ভুলটাকে সঠিক করার দায়িত্ব নিলেন কংগ্রেস যুবনেতা কৌস্তভ বাগচী। একটি ইমেইল মারফত তিনি দিলীপ ঘোষকে পাঠালেন বর্ণপরিচয় এর একটি পিডিএফ কপি।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেছেন, “উনার অক্ষরজ্ঞানটুকু নেই,সেটা উনি আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন। ওনার যে শিক্ষার অভাব রয়েছে সেটা দূর করার জন্য এই বইটা পাঠানো হলো।” সূত্রের খবর এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র ডিজিটাল সংস্করণ গেছে। তবে পরবর্তীতে গোটা বর্ণপরিচয় বইটা দিলীপ ঘোষের বাড়িতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার সংসদের সামনে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদরা। সেখানে মূলত দাবি ছিল বাংলায় নারী নির্যাতন কমানো। বিজেপি সাংসদদের হাতে একটি করে প্ল্যাকার্ড ছিল।কিন্তু দিলীপ ঘোষের হাতে প্ল্যাকার্ড ধরা ছিল সেই খানে দেখা যায়, ” কন্যাশ্রী চাইনা। সম্মান চাই।” লেখা। কিন্তু কন্যাশ্রী শব্দের বানান ভুল। পরবর্তীতে নিজের বানান শুধরে নিয়ে নতুন প্লাকার্ড ধরলেন তিনি। কিন্তু ততক্ষনে যা হবার হয়ে গেছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছেন, ” আগে ওরা বানান শিখুক। তারপর প্রতিবাদ করবে। “