খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ গত রবিবার খোয়াই থানায় ঘটা সম্পূর্ণ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল গভীর রাত্রে সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, দোলা সেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ত্রিপুরা তৃণমূল নেতা সুভাষ ভৌমিক সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। ত্রিপুরা পুলিশের অভিযোগ ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার বেআইনি দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এবং এই কারণেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
ত্রিপুরা পুলিশের বক্তব্য তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে তৃণমূল নেতারা। এই কারণেই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরে ত্রিপুরা পুলিশকে একহাত নেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কুনাল ঘোষ দাবি করেছেন, ” অন্যায় ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গুচ্ছের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিষেক, ব্রাত্য, দোলা, আমি, প্রকাশদা এবং সুবল দার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে খোয়াই থানার পক্ষ থেকে। বিজেপি ভয় পেয়েছে। আমরা কোনো কাজে বাধা দেইনি। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কথা বলবেনা।”
অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, “চোপ, ত্রিপুরায় বিপ্লব চলছে!! ভয় পেয়োনা ভয় পেয়োনা তোমায় আমি মারব না। সত্যি বলছি তোমার সঙ্গে কুস্তি করে পারব না। পুলিশ, ২০২৩ এ কিন্তু আমাদের দেখে মাথার টুপিটা খুলিস!!” ষাটের দশকের কবি তুষার রায়ের বিখ্যাত ছড়া থেকে কিছু পঙক্তি তুলে এনে এভাবেই বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার ত্রিপুরার আমবাসায় যাওয়ার পথে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, যুবনেতা সুদীপ রাহা এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেত্রী জয়া দত্ত সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহর তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্ব সরাসরি ত্রিপুরা থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। সেখানে গিয়ে দীর্ঘক্ষন ধর্ণা করে বলে অভিযোগ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন এবং ব্রাত্য বসুরা ধর্নায় নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে এসডিপিও রাজিব সুত্রধার এবং ওসি মনোরঞ্জন দেববর্মা কে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আপনি অভিযোগ দেখান। আমি এখানে বসে থাকবো। আপনি হয় এদের থানা থেকে জামিন দিন, নয়তো জানান এদের অভিযোগটা কি? এই ঘটনার পরবর্তীতে সেদিন আদালতে তোলা হয় দেবাংশু ও অন্যদের। যদিও আদালতে গিয়ে সরাসরি জামিন হয়ে যায় সকলের।