খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ প্রথমবার সহবাসের পরে অনেক সময় নারীর যৌনাঙ্গ জ্বালাপোড়া ও ব্যথা যন্ত্রণা হয়। এটি অস্বাভাবিক কিছু না। সাধারণত বিবাহের পর প্রথম সঙ্গমের পরেই এমন বিষয়টি হতে পারে। আবার পরবর্তীকালেও কখনো কখনো এমন হতেই পারে। এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নারী যৌনাঙ্গ হল সবচাইতে স্পর্শকাতর একটি জায়গা। তাই এই জায়গাটির যত্ন নেওয়া বিশেষ দরকার। নারীরা চুলের যত্ন নেয়, ত্বকের যত্ন নেয় কিন্তু যৌনাঙ্গের ঠিক কতটা যত্ন নেয় এই বিষয়ে একটি প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যায়।
নানা কারণে এই জ্বালাপোড়া হতে পারে। প্রথমত, নারী দেহ পুরুষদের তুলনায় অনেক পড়ে উত্তেজিত হয় তাই সঙ্গমের আগে ফোরপ্লে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অল্প সময় ফোরপ্লে করার পরেই পুরুষরা চায় যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে কিন্তু তখন নারী যদি উত্তেজিত না হয় তখন নারীর যৌনাঙ্গ যথেষ্ট পিচ্ছিল হয় না যার ফলে সঙ্গমের পর যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হতে পারে। দ্বিতীয়তঃ, অনেক সময় পুরুষ সঙ্গীর লিঙ্গ যদি অনেক বেশি বড় হয় তাহলে ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
তৃতীয়তঃ, কোন কারণে যৌনাঙ্গে যদি কোনো ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে নানাভাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
চতুর্থত, অনেক সময় ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সঙ্গমের ক্ষেত্রে ব্যথা বেশি হতে পারে।
পঞ্চমত, অনেক সময় পুরুষরা এমন কিছু প্রটেকশন ব্যবহার করে থাকেন যার ফলে যৌনাঙ্গে যথেষ্ট ঘর্ষণ হয় এর জন্য জ্বালাপোড়া হতে পারে।
প্রথমতঃ যৌনাঙ্গকে অনেক বেশি সুস্থ ও পরিষ্কার রাখতে হবে মাসিক হওয়ার পরে ভালো করে গরম জল দিয়ে ধুতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ সঙ্গমের সময় অতিরিক্ত লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করতে হবে যার ফলে সঙ্গম খুব স্বাভাবিক হতে পারে।
তৃতীয়তঃ কোন সমস্যা হলে অবশ্যই আপনার সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করুন কারন আপনার ব্যথা-বেদনা যদি তাকে না জানান, সে তো বুঝতেও পারবে না।
চতুর্থতঃ মাঝেমধ্যে পুরুষসঙ্গীর প্রটেকশন নেওয়া থেকে তাকে বিরত দিয়ে আপনিও জন্মনিয়ন্ত্রণের কিছু চেষ্টা করতে পারেন এ বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন নিজে থেকে দোকান থেকে কিনে কোনরকম ওষুধ খাবেন না।
পঞ্চমতঃ সহবাসের পর অবশ্যই যৌনাঙ্গ ভালো করে ঠান্ডা জল দিয়ে প্রয়োজনে বরফ জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।