খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ 19 শে জুলাই থেকে সমগ্র ভারতবর্ষ সরগরম হয়ে উঠেছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পর্ণোগ্রাফির যোগ নিয়ে। 19 শে জুলাই রাতে পর্ণোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি (Shilpa shetty) র স্বামী রাজ কুন্দ্রা (Raj kundra) কে। এরপর থেকেই উঠে আসছে একের পর এক নাম যাঁদের সঙ্গে রাজের তৈরি পর্ণোগ্রাফি নেটওয়ার্কের সম্ভাব্য যোগাযোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এঁদের অভিহিত করা হচ্ছে মডেল বা অভিনেত্রী হিসাবে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে এবার মুখ খুললেন বাংলার অভিনেত্রী জয়া এহসান (jaya ahsan)।
প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, পর্ণ কান্ডে অভিযুক্ত মহিলাদের অধিকাংশই বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত। ফলে তাঁদের ‘মডেল’ বা ‘অভিনেত্রী’ বলা হচ্ছে। এই কথার তীব্র বিরোধিতা করে জয়া বলেছেন, যাকে খুশি মডেল বা অভিনেত্রী বললে প্রকৃত শিল্পীরা অসম্মানিত হন। 3 রা অগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জয়া লিখেছেন, ব্যক্তিগত পরিচয়, প্রভাব, বাহ্যিক সৌন্দর্য বা কপালজোরে দু-একটি বিজ্ঞাপন বা নাটকে কাজ করলেই তাঁকে মডেল বা অভিনেত্রী বলা যায় কিনা, সেই ভাবনাটা এবার জরুরী হয়ে উঠেছে। জয়ার মতে, ইদানিং অনেকেই নিছক সময় কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের তৈরি ভিডিওতে অভিনয় করেন। মডেল হিসাবে কারও ছবি হয়তো পাশের দর্জির দোকানে অথবা বিলবোর্ডে ঝুলছে। তাঁরা নিজেদের অভিনেত্রী বা মডেল বলে দাবি করছেন। অথচ মডেল বা অভিনেতা-অভিনেত্রী হয়ে ওঠার জন্য যে নিষ্ঠা, একাগ্রতা, জ্ঞান, দর্শন, প্রস্তুতি, সামাজিক ও পেশাদার দায়বদ্ধতা প্রয়োজন, সেসব কিছুই তাঁর নেই। কিন্তু হঠাৎই জয়ার এত তির্যক মন্তব্য করার প্রয়োজন কেন পড়ল ? তার কারণ হিসাবে তিনি লিখেছেন, কোথাও যেকোন পুলিশি অভিযানে ধরপাকড় হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিরোনাম হিসাবে লেখা হয়, মডেল বা অভিনেতা-অভিনেত্রী গ্রেফতার। পাঠকদের কাছে খবর আকর্ষণীয় ভাবে পেশ করার জন্য এইভাবে লেখা হলেও এই ধরনের শিরোনামের ফলে অসম্মানিত হচ্ছেন নামী অভিনেতা-অভিনেত্রী, মডেল সহ বিনোদন জগতের অন্যান্য ব্যক্তিত্বরা। শিল্পের উন্নতির জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করার পর বাড়ি ফিরে তাঁদের শুনতে হচ্ছে, তাঁদের ইন্ডাস্ট্রির একজন মডেল বা অভিনেত্রী কু-কর্ম করেছেন।
এই কারণে জয়ার অনুরোধ, যে কোন ব্যক্তিকে তকমা দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে বিষয়টি যাচাই করার পাশাপাশি ব্যক্তির নিষ্ঠা, অবদান বিচার করা হোক। তারপরেই যেন ওই ব্যক্তিকে কোন নির্দিষ্ট তকমা দেওয়া হয়। নাহলে মডেলিং বা অভিনয়ের মতো পেশা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।