সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ পাঁচ বছরের মধ্যে এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করল মালদা জেলা আদালত। ডাকাত দলের ছয়জনকে দোষী প্রমাণিত করে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মালদা আদালত। ডাকাতি হয়ে যাওয়া সামগ্রী নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দায়ী এক মহিলাসহ দুইজনকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় ঘোষণা হয় মালদা জেলা আদালতের পঞ্চম কোর্টে।
উল্লেখ 2017 সালের 6 এপ্রিল বামন গোলা থানার জগদ্দল গ্রামের বাসিন্দা হাতুড়ে চিকিৎসক অসীমানন্দ বিশ্বাসের বাড়িতে গভীর রাতে ছয়জনের এক ডাকাত দল জড়ো হয়। প্রথমে রোগী দেখানোর নাম করে চিকিৎসক অসীমানন্দ কে বাড়ির বাইরে ডাকে। তিনি বাড়ির বাইরে আসতেই দুষ্কৃতীরা বন্দুকের বাট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে গুরুতরভাবে জখম করে। এমনকি পরিবারের লোকেদের প্রাণে মারার হুমকি দেয়। সেই সুযোগে ছয়জনের দুষ্কৃতী অসীমানন্দ বাবুর বাড়িতে লুটপাট চালায়। নগদ দেড় লক্ষ টাকা সহ প্রায় চার ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। পরেরদিন বামন গোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অসীমানন্দ বাবু। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে বামন গোলা থানার পুলিশ। মালদা জেলা আদালতে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। দীর্ঘ প্রায় 5 বছর ধরে চলে ডাকাতি মামলার শুনানি। ছয়জনের ডাকাত দল ছাড়াও এক মহিলাসহ ২ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা চুরি করে আনা সোনার গয়না গুলো নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নগদ টাকা গুলি ডাকাত ডাকাত দলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। চুরি করা সোনার গয়না গুলি কালিয়াচকের এক স্বর্ণকারকে দিয়ে গলায়।
মোট অভিযুক্ত 8 জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয় মালদা জেলা আদালতের অবশেষে প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল আদালত পাশাপাশি বৃহস্পতিবার দোষীদের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করে। ডাকাত দলের 6 জন সদস্য বিকাশ মণ্ডল অখিল ঘোষ সঞ্জয় ঘোষ দীপক মন্ডল তাপস বর্মন ও আনারুল হকের সাত বছরের কারাদণ্ড ও 10 হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ী আরো ছয় মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ডাকাতদলের সদস্য আনারুল হক তার স্ত্রী মনিরা বিবির কাছে চুরি করার সোনার গয়না গুলি রেখেছিল। মনিরা বিবি সেই সোনার অলংকার গুলি বদরুদ্দীন শেখ নামে এক স্বর্ণকারের কাছে গলিয়ে নাই। পুলিশে এই দুইজনের বিরুদ্ধে 412 ধারায় মামলা রুজু করে। তাদের দুইজন কেউ দোষী সাব্যস্ত করে আদালত তাদের তিন বছরের জেল হেফাজত 5 হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ডাকাতির ঘটনায় আদালতের এই রায়ের খুশি অসীমানন্দ বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকেরা সরকারি আইনজীবী তীর্থ বসু বলেন, প্রায় 5 বছর আগে বামন গোলা থানার জগদ্দালা গ্রামে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে ছয়জনের একটি ডাকাতদল স্থানীয় এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ সোনার অলংকার চুরি করে সেই ঘটনার বৃহস্পতিবার মালদা জেলা আদালতে ঘোষণা হয় ডাকাত দলের ছয় সদস্যের সাত বছরের জেল ঘোষণা করে। আরো দুইজনের তিন বছরের জেল হেফাজত হয়।