খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ সদ্য দলে আসা মহিলাদের নাকি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্রের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ বিজেপির যুব মোর্চার অপেক্ষাকৃত পুরনো মহিলা কর্মীদের। তাদের অভিযোগ সৌমিত্র খাঁ নাকি তাদের কে ফোন করে তাদের কাজ না করতে হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও প্রকাশ্যে তাদের অসম্মান করছেন বলেও মহিলাদের অভিযোগ। এই সমস্ত অভিযোগ নথিবদ্ধ করে সরাসরি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে চিঠি লিখলেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার মহিলা সদস্যরা।
বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই অন্তর্কলহ জর্জরিত হয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রায়শই ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে কেউ না কেউ বেসুরো হয়ে চলে আসছেন। বহু তৃণমূল নেতা যারা বিজেপিতে গিয়েছিলেন ভোটের সময় তারা আবারো তৃণমূলে ফিরে আসছেন বা আসার চেষ্টা করছেন। বিজেপির যুব সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করছেন। তার মধ্যেই আবার কিছুদিন আগে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন যুব মোর্চার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। পরে সেই অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেও এবারে তার বিরুদ্ধে সরাসরি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন বিজেপীর যুব মোর্চার কর্মীরা।
দিলীপ ঘোষের কাছে পাঠানো চিঠিতে মহিলা কর্মীরা লিখেছেন, “বর্তমানে যুব মোর্চার একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য হিসেবে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি আমরা। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ মহাশয় একনায়কতন্ত্র নীতি চালাচ্ছেন, তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির কোন নীতি এবং নিয়ম কে কোন তোয়াক্কা করছেন না। ইচ্ছেমতো পার্টিতে সদ্য যোগ দেওয়া মহিলাদের সরাসরি পার্টির জরুরী কমিটিতে পদাধিকার দিয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে উপেখিত হচ্ছেন বহু লড়াইয়ের সঙ্গে পুরনো মহিলা কর্মীরা।পাশাপাশি আমাদের অসম্মান করার জন্য যুব মোর্চার অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ইচ্ছামতো চ্যাট এর স্ক্রিনশট সরাসরি তুলে দেওয়া হচ্ছে মিডিয়ার হাতে।
দলীয় কাজকর্মে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না আমাদের। এমনকি আমাদের ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বলা হচ্ছে তিনি নাকি আমাদের পার্টি করতে দেবেন না। ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের মত পুরনো মহিলা কর্মীদের সরিয়ে রাখছেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি সভাপতি থাকাকালীন অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে সহ-সভাপতির। প্রকাশ্যে মারামারি হচ্ছে, খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি যুব মোর্চার একটা দমবন্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মহিলা কার্যকরতারা প্রকাশ্যে হুমকি এবং সম্মান হানির শিকার হচ্ছি। শুধুমাত্র সস্তা প্রচার পাওয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে প্রচার মিডিয়াতে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। এটি আমাদের দলীয় সংবিধানের বিরোধিতা করে। এমতাবস্থায় আমাদের বিনীত অনুরোধ, অবিলম্বে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বন্ধ করুন এবং যুব মোর্চা কে আবারো আগের মত করে দিন। যদি আপনারা অপারগ হন, তাহলে আমাদের সম্মান রক্ষার্থে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুমতি দিন।” এই চিঠিতে সই করেছেন বনশ্রী মন্ডল, প্রিয়াঙ্কা শর্মা ও ঝিলাম বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ আরো অনেকেই।