রাজ্যে বাড়লো বিধি – নিষেধের মেয়াদ, ঘোষণা করেছে নবান্ন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   ১৫ আগস্ট পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বৃদ্ধি পেল বিধি-নিষেধের মেয়াদ। জানা গিয়েছে আপাতত স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত এই বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছে নবান্ন। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফ থেকে নতুন নিয়মাবলী জারি করা হয়েছে।এখনো পর্যন্ত নাইট কারফিউ এর বিধিনিষেধ থাকছেই। এখনো পর্যন্ত রাজ্যের তরফ থেকে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হল না।

কিছু ক্ষেত্রে আরো বেশি কড়াকড়ি শুরু করেছে রাজ্য। রাজ্য সরকারের তরফে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, সরকারি অনুষ্ঠান এবার থেকে করা যাবে রুদ্ধদ্বার কোন একটি জায়গায়। অবশ্যই সেখানে করোনাভাইরাস বিধি মানতে হবে এবং সর্বাধিক উপস্থিত হতে পারে ৫০%। এছাড়াও মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ববিধি এই সমস্ত বৈঠকের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক।

পাশাপাশি স্বাস্থ্য, আইন শৃঙ্খলা ও কৃষিকাজে উৎপাদিত দ্রব্য, জরুরী পরিষেবা ছাড়া নাইট কারফিউ এর সময় অর্থাৎ রাত নয়টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সমস্ত যাতায়াত বন্ধ থাকবে। মোটের উপর বলতে গেলে আগের নিয়মে থেকে তেমন কিছু পরিবর্তন করা হয়নি। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিস্তারে, কি কি চলবে আর কি কি চলবে না।

আরও পড়ুন -  ওরা গদ্দার, দলের সঙ্গে আমার সঙ্গে বেইমানি করেছেঃ অর্জুন সিং

১. স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সবকিছু থাকবে বন্ধ।

২. লোকাল ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ থাকবে, চলবে শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। সাধারণ যাত্রীদের জন্য সপ্তাহে ৫ দিন মেট্রো চালানো হবে। পাশাপাশি, শনিবার ও রবিবার বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা(সাধারণ মানুষের জন্য)।

৩. বাস-অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব ও জল পরিবহন চলবে কিন্তু সর্বাধিক যাত্রী সংখ্যা হতে হবে ৫০%। পাশাপাশি চালক ও কর্মীদের অবশ্যই টিকা গ্রহণ করতে হবে।

৪. বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, স্পা ও সুইমিং পুল। তবে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরের সাঁতারুদের জন্য খোলা থাকবে সুইমিং পুল তবে সকাল ছয়টা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত। সকালে প্রাতঃভ্রমণ এবং ব্যায়াম করার জন্য খোলা থাকবে পার্ক। সময় সকাল ছয়টা থেকে সকাল নটা পর্যন্ত। তবে যারা টিকা গ্রহণ করেছেন শুধুমাত্র তারাই ঢুকতে পারবেন পার্কে।

আরও পড়ুন -  first Lakshmi Pujo: মা ও মেয়ের একসাথে প্রথম লক্ষ্মী পুজো

৫. রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্ত ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠান হতে পারে তাও রুদ্ধদ্বার কোন একটি জায়গায়।

৬. সরকারি অফিস চলবে সঠিক সময় মত । ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টে পর্যন্ত। বেসরকারি অফিস সাধারণ সময়মতো খোলা থাকবে। উপস্থিত থাকতে পারবেন সর্বাধিক ৫০% কর্মী। মানতে হবে সামাজিক বিধি নিষেধ। সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে কারখানা মিল ও তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র।

আরও পড়ুন -  Women's U-19 World Cup: বাংলাদেশ, নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক

৭. খোলা থাকতে পারবে সমস্ত দোকান ও বাজার। পাশাপাশি, হোটেল, শপিং মল, ক্লাবের রেস্তোরাঁ ও পানশালা খোলা যাবে। তবে রাত ৮ টার পরে পানশালা ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে হবে। শপিং মল ও মার্কেট কমপ্লেক্স এর খুচরো দোকান খোলা যাবে তবে সর্বাধিক কর্মীসংখ্যা হতে হবে ৫০%। পাশাপাশি এক সময়ে সর্বাধিক ৫০% মানুষ ঢুকবেন এবং কেনাকাটা করতে পারবেন।

৮. জিম খোলা থাকবে সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা ও বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। ৫০% মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন। সাধারণ সময়মতো সেলুন ও বিউটি পার্লার খোলা যাবে ৫০% মানুষ নিয়ে।

৯ দর্শক ছাড়া যে কোন স্টেডিয়াম ও স্পোর্টস কমপ্লেক্স খোলা যাবে।

১০. খোলা থাকবে পেট্রোল পাম্প ও গ্যাসের দোকান।

১১. চলবে ই-কমার্স ও হোম ডেলিভারি।