খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের বার বার দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এমনকি পৌরহিত্যেও লিঙ্গভেদ করা হয়। কিন্তু কেন বলুন তো? মন্দিরে ঈশ্বরের সেবা আর আরাধবার অধিকার কি শুধু পুরুষদের? নারী দেহ নাকি অশুচি। বার বার এই ধরণের কথা শুনতে হয়েছে বহুজনকে। তবে এই সব প্রশ্ন পর্দাতে দর্শকের সামনে তুলেছিল অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’। নারীদের পূজা করা উচিত নয়, কন্যাকে অন্যের কাছে দান করে দেওয়া এই ধরণের ট্যাবু বহু যুগ ধরে এই সমাজে প্রচলিত।
সমাজের সেই কুপ্রথা বন্ধ করতে এক অনন্য নারীকাহিনি তুলে ধরা হয়েছিল রুপোলী পর্দায়। এক মহিলা পুরোহিতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন গুণবতী ঋতাভরী। ঋতাভরী চক্রবর্তীর অভিনয় সকলকে আরো মুগ্ধ করে দিয়েছে। এই ছবি করোনা আবহে গত বছর দু দুবার কলকাতা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। করোনা পরিস্থিতিতে কম সংখ্যক মানুষ দেখলেও এই সিনেমা বেশ হিট হয়। এবার এই ছবির মুকুটে উঠলো আরো এক নতুন সম্মান।
‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ এই বাংলা সিনেমা টোরোন্টো ইন্টারন্যাশনাল উইমেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অফিসিয়ালি নির্বাচিত হয়েছে। আর এই সুখবর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সিনেমার সকল কলাকুশলীরা। এবার এই প্রসঙ্গে সিনেমার পরিচালক মশাই অরিত্র জানালেন“এই মাসেই টোরোন্টোতে দেখানো হয়েছে তাঁদের ছবি। তিনি এখন লোকেশন দেখতে আউটডোরে। তাঁর সঙ্গে যারা রয়েছে, তারাও এই ছবির অংশ। সকলে মিলে যখন সবাই এই ভাল খবরটা পেলেন তখন সেই খুশির কথা বলে বোঝানো যাবে না।
তিনি আরো বলেন এই ছবি মুক্তির পর করোনার জন্য হল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে তিনি খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। তবে পরিস্থিতি ঠিক হতেই আবার মুক্তি পায়। তখনও কিছু মানুষ দেখেছেন। তবে সব দুঃখ ঘুচে গেছে যখন ইফিতে টোরেন্টোতে যখন এই সিনেমা দেখানো হয়। তখন এই দুঃখটা ভুলিয়ে দিয়েছে। এমনকি তিনি এই সাফল্যের সব কৃতিত্ব পুরো টিম আর ঋতাভরীকে দিয়েছেন। ঋতাভরী ছাড়াও সোহম মজুমদার, সোমা চক্রবর্তী, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, মানসী সিনহা ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীর অভিনয় করেছেন। আর এই সিনেমা ছিল পরিচালক অরিত্রের ডেবিউ সিনেমা। আর প্রথম সিনেমাতে বাজিমাত।
ভারতীয় সমাজে এখনও পর্যন্ত মহিলা পুরোহিতদের তেমন ভাবে পরিচয় পাননি। তাঁদের কাজ এখনো খুব কঠিন আর চ্যালেঞ্জিং। এই ছবির গল্পের সূত্রেই বারবার উঠে এসেছে আসল মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিকের নাম। তবে এই সিনেমা মুক্তির পর সনাজেও ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে। একেই হয়তো বলে রেঁনেসা।