খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ বাংলা সিরিয়ালে ‘কৃষ্ণকলি’র শ্যামা এখন দর্শকদের চোখের মনি। বাঙালির মা কাকিমার খুব প্রিয় বৌমা বললেও কিছু কম নয়। কালো চেহারা কিন্তু মুখের মধ্যে এক অন্য রকম মুগ্ধতা আছে। গ্রামের মিষ্টি মেয়েটির মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। শ্যামা যেমন কীর্তন গাইতে পারে ঠিক একইভাবে সংসার মন দিয়ে করতে পারে। শ্যামা হিসেবে অভিনেত্রী তিয়াসা রায়ের জনপ্রিয়তা এখন সকলের ঘরে।
তিয়াসা ওরফে শ্যামাকে ধারাবাহিকে আটপৌরে শাড়ি আর ব্লাউজ আর লাজুক দেখতে লাগলেও আসল জীবনে অভিনেত্রী এত লাজুক নন। বাস্তবে তিয়াসার লুক একেবারে আলাদা। ধারাবাহিকের স্বার্থে অভিনেত্রীর গায়ের রঙ শ্যামলা হলেও বাস্তবে তিনি ততটাই ফর্সা। অভিনয়ের পাশাপাশি অভিনেত্রী নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে বেশ ভালো ভাবে সক্রিয়। প্রায়শই নিজেকে নানান ভাবে মেলে ধরে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা পোশাকে ছবি পোস্ট করেছেন।
View this post on Instagram
স্লিভলেস গাউন, খোলা চুল, আর নিউড মেক আপ আর মিষ্টি হাসি মুখে ছবি দিলেন অভিনেত্রী। এই পাশ্চাত্য পোশাকের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে অভিনেত্রীর ক্লিভেজ। আবেদন মাখানো সেই ছবি দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছেন তবে অনেকে তিয়াসাকে বলেছেন ‘সেক্সি’, ‘হট’ এবং ‘উফফ! আগুন তো’ এসব কমেন্ট। এর মাঝেই কেউ আবার করে বসলো অন্য প্রশ্ন। নেটিজেনদের একাংশ প্রশ্ন করলেন ‘মদনদা কই?’ হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন? আসলে ‘কৃষ্ণকলি’ খ্যাত শ্যামাকে ইদানিং প্রায়ই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। কখনো ভোটের প্রচার সঙ্গী হিসেবে তো আবার কখনো দুর্বারের উমা আরাধনার খুঁটিপুজোতে। এমনকি ভোটে জেতার পর এই তিয়াসাকে নিয়েই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন মদন মিত্র। সেই সব ছবি বিভিন্ন পেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নতুন বিতর্ক। তবে ‘মদনদা কই’ মন্তব্যে এখনও কোনও উত্তর দেননি অভিনেত্রী।