কলকাতার কোভিড যুদ্ধে উডল্যান্ডস এর উপহার স্বতন্ত্র ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার

Published By: Khabar India Online | Published On:

সত্যজিৎ চক্রবর্তী, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ   কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইতে কলকাতা আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। আজ উডল্যান্ডস হাসপাতালের উদ্যোগে উদ্বোধন হল একটি স্বয়ংসম্পুর্ন স্বতন্ত্র ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারের। একদিনে এই কেন্দ্রে এক হাজার মানুষ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয় অদুর ভবিষ্যতে তাঁদের সংখ্যাটিকে দুই হাজার করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মূল হাসপাতাল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরত্বে ৮সি আলিপুর রোডে আজ সকালে এই টিকাকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন রাজ্য পরিবহন ও গৃহ উন্ন্য়ন মন্ত্রী জনাব ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উডল্যান্ডস মাল্টি স্পেসালিটি হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ রূপালী বসু।

আরও পড়ুন -  Joe Biden: লড়বেন জো বাইডেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে

অনুষ্ঠানে জনাব হাকিম জানান যে দেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করা প্রয়জন, কারন ভ্যাকসিন ছাড়া এই মুহূর্তে কোভিড প্রতিরোধে আমাদের হাতে আর কোন অস্ত্র নেই। ডাঃ রূপালি বসু তাঁর বক্তব্যে জানান তাড়াতাড়ি বেশি সংখ্যক মানুষের জন্য ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন -  Jio Recharge Plan: নতুন বছরে গ্রাহকদের জন্য দুর্দান্ত অফার! ২০০GB ডেটা ও আনলিমিটেড 5G সহ আকর্ষণীয় সুবিধা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারের কোভিডের বিরুদ্ধে সতর্কতা মু্লক প্রতিরোধ ব্যবস্থা সবই স্বয়ংক্রিয়। আজই এখানে চালু করা হল স্পর্শের প্রয়োজন বিহীন অটোমেটেড টেম্পারেচার স্ক্যানার বা টিকা গ্রহনকারীদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র। চালু হল অটোমেটেড শু ডিস্পেন্সরও। এছাড়া এখানকার ভ্যাক্সিনেশনের লাইন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই নিয়ন্ত্রন করা হবে।

প্রতি সোম থেকে শনিবার সকাল নটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই সেন্টার খোলা থাকবে। কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু পক্ষেরই সময় বাঁচাতে এখানে ডিজিটাল পেমেন্টেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। https://www.myhealthcare.co/mywoodlands/ এই লিংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ও পেমেন্ট দুইই করা যাবে। বয়স্ক, অসুস্থ ও ব্যস্ত মানুষ জনের জন্য এই ব্যবস্থা অত্যন্ত সহায়ক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  পশ্চিমবঙ্গের আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছেঃ সায়ন্তন বসু