মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পড়ুয়াদের স্বার্থে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   কি ভাবে মূল্যায়ন হবে এই নিয়ে চিন্তায় রয়েছে পর্ষদ এবং সংসদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে একটি বৈঠকে জানিয়ে দিলেন, জনমতের উপর ভিত্তি করে এই মুহূর্তে এই বছরের জন্য মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

পাশাপাশি আগামী ৭ দিনের মধ্যে কিভাবে মূল্যায়ন হবে বা কি ভাবে মার্কশিট তৈরি হবে, সমস্ত কিছু জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জোড়া পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষক এবং সমাজের সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে দিক থেকে দেখতে গেলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না হওয়ার পক্ষে বলেছেন ৮৩ শতাংশ মানুষ আর অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা না হওয়া নিয়ে বলেছেন ৭৯ শতাংশ মানুষ। মতামত জানানোর সময় ছিল আজ দুপুর দুটো পর্যন্ত এবং বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সমস্ত মেইল আইডি মিলিয়ে ৩৪,০০০ ইমেইল সংগ্রহ হয়েছে।

আরও পড়ুন -  অমিত শাহকে কি হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?

মুখ্যমন্ত্রী মূলত পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা এবং তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই পরীক্ষা বাতিল করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। তার মধ্যে ইন্ধনের কাজ করেছে সিবিএসই দ্বাদশ এবং আইএসসি পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবার ঘটনা। এর ফলে মাধ্যমিক পরীক্ষার সিডিউল ঘোষণা করে দিয়ে সব দিক থেকে চাপে পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনমতকে গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তীতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন -  তৃণমূলের অন্দরেই দাবি, মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুন করে সাজান, পার্থ গ্রেপ্তারির পর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যত নিয়ে একটি উচ্চ লেভেলের কমিটি গঠন করেছিলেন। এই কমিটির তরফে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল এ বছরের জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়। তারপর থেকেই এই পরীক্ষা বাতিল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। অবশেষে অভিভাবক, সাধারণ মানুষ এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে মতামত জানতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন -  দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে বেশি জমা পড়েছে আবেদন