খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রচারের রমরমা দেখে একপ্রকার মনে হচ্ছিল যে এবারে বাংলার মসনদে হয়তো ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু বাস্তবে বাংলার মানুষের পছন্দ বাংলার মেয়েকে। বিজেপিকে বিপুল মার্জিনে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে দলত্যাগীরা বিজেপিতে গিয়েও কোনো সুবিধা করে উঠতে পারেনি। তবে সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে ঘর ওয়াপসি পর্ব শুরু হয়েছে।
যে সমস্ত তৃণমূল নেতা নেত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন তারাই তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে অনুরোধ জানিয়ে দলে ফিরে আসার কাতর আর্জি জানাচ্ছেন। বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন ট্রেন্ড ঘর ওয়াপসি পর্ব। অনেকেই তৃণমূলের কাছে ঘরে ফিরে আসার আবেদন জানাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি সরাসরি বলে দিয়েছেন, “দলবদলুদের আগামী ৬ মাস দলে ফেরানো উচিত নয়। এতে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। আমাকে রোজ অনেকেই ফোন করছেন।”
দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, “আমাকে রোজ অনেকেই ফোন করছেন যে দলে ফিরে আসবেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে ৬ মাস মনিটরিং করার পক্ষে। আগামী ৬ মাস দলে কেউ ঢুকবে না। রাতারাতি বলছি আবার ফিরে আসবে। যে সমস্ত কর্মীরা জান লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে জিততে সাহায্য করেছে, তারা হতাশ হয়ে পড়বে।”
গতকাল সাতগাছিয়া প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোনালী গুহ দলে ফিরে আসার কথা জানিয়ে সর্বসমক্ষে একটি টুইট করেন। তিনি টুইটে বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে দলে ফিরে আসার কাতর আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মাছ যেমন জল ছাড়া থাকতে পারে না, ঠিক তেমনি আমি দিদিকে ছাড়া থাকতে পারবো না। সারাজীবন দিদির আঁচলের তলায় থেকে কাজ করব।” অন্যদিকে একই পথ অনুসরণ করেছেন মালদার প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী সরলা মুর্মু। তিনি দলে ফিরে আসার জন্য আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন জানিয়েছেন।