Drug Stores-এ হানা দিল ড্রাগ কন্ট্রোল এর আধিকারিকরা ও বাঁকুড়া জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এর আাধিকারিকরা

Published By: Khabar India Online | Published On:

সাধন মণ্ডল, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, বাঁকুড়াঃ   আজ সারদিন ধরে বাঁকুড়া শহরের কলেজমোড়,যোগেশপল্লী,বড়বাজার,কাঠ জুড়িডাঙ্গা সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঔষধের দোকানে হানা দিল ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকরা ও বাঁকুড়া জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এর আাধিকারিকরা।

ঔষধের দোকান গুলোতে গিয়ে তারা দোকানদারদের সতর্ক করে বলেন প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো খরিদ্দারকে ঔষধ দেওয়া যাবেনা , পাশাপাশি দোকানদারদের সতর্ক করে বলেন সমস্ত খরিদ্দারকে পাকা বিল দিতে হবে।
জেলায় ওষুধের কোন ঘাটতি নেই’। শনিবার পুলিশের এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়া শহরের ওষুধের দোকান গুলি পরিদর্শণ শেষে জেলা ড্রাগ কন্ট্রোলের ডেপুটি ডাইরেক্টর জয়ন্ত চৌধুরী একথা জানান। তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে জেলায় ডক্সিসাইক্লিনের সামান্য অভাব রয়েছে। তবে আগামীকালের মধ্যে জেলায় ২ লক্ষ ট্যাবলেট এসে পৌঁছাচ্ছে। একই সঙ্গে এরাজ্যে তৈরী হয়না এমন কিছু ওষুধ পৌঁছাতে দেরী হচ্ছে। সেগুলিও দু’এক দিনের মধ্যে এসে পৌঁছাবে। এখনো পর্যন্ত কোন রোগী বা তাদের আত্মীয় ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ তাদের কাছে এখনো করেননি বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুন -  মানবিকতার নজির সৃষ্টি করল জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা থানার চিলতোড় গ্রাম এর সিভিক ভলেন্টিয়ার পিন্টু কুম্ভকার

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমি ডাক্তার বাবুদের বলেছি তারা যেন প্রেসক্রিপশনে কোন কোম্পানির নাম না লিখেন শুধুমাত্র জেনেরিক নাম লেখার অনুরোধ জানাই তাহলে সাধারণ মানুষের ওষুধ পেতে কোন অসুবিধা হবে না হয়তো ডাক্তারবাবু যে কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন সেটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না কিন্তু ওই কম্পোজিশনের অন্য কোম্পানির ওষুধ বাজারে আছে তাই ডাক্তার বাবুদের বলেছি জেনেরিক নাম লিখতে তাহলে কোন মানুষ ওষুধ না পাওয়া হবেন না কোন না কোন দোকানে অবশ্যই মিলবে।

আরও পড়ুন -  শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন রায়পুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু

ওষুধ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের কোভিড টীকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমান করোনাকালে একেবারে সামনে থেকে লড়াই করছেন ওষুধ ব্যবসায়ী থেকে ঐ দোকানের কর্মচারীরা। তাঁরাও যাতে দ্রুত টীকা পান সে ব্যপারে স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ অফ ড্রাগ কন্ট্রোল এর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার বুদ্ধিজীবী মহল। এভাবেই মাঝে মাঝে ঔষধ দোকানগুলোতে হানা দিলে দোকানদাররা ওষুধের কৃত্রিমভাবে অভাব তৈরি করতে পারবে না বলে তারা বলেন। অন্যদিকে জেলার জঙ্গলমহলে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে কিছু ঔষধের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জিঙ্ক জাতীয় ঔষধের। রাইপুর, রানিবাঁধ সারেঙ্গা বাজারে কোন রকম জিংক জাতীয় ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।। জেলা শহরের সাথে সাথে জঙ্গলমহল এলাকার ঔষধ দোকানগুলোতেও এই ধরনের হানা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন জঙ্গলমহলবাসী।

আরও পড়ুন -  প্রায় ৩৫০ বছরের পুরানো মহামায়া মন্দির নতুনভাবে সেজে উঠছে