টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ একদিকে যখন মৃত্যুর মিছিল চলছে, তখন ভয়ঙ্কর অভিযোগ দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানে। কোভিড মৃতদেহ আনার পরে চলছে দাম দর। কারো কাছে 10 হাজার টাকা কারো কাছে 15 হাজার টাকা। এই রকম ডিমান্ড করা হচ্ছে এবং এর ডিমান্ড করছে বরাত পাওয়া একটি সংস্থা, যারা কোভিড মৃতদেহ দাহ করবে তাদের দিকেই অভিযোগ।
কয়েকদিন ধরেই এই অভিযোগ আসছিল কিন্তু তার স্বপক্ষে প্রমাণ মিলল গতকাল রাতে। দুর্গাপুর এর একটি স্থানীয় চ্যানেলের সাংবাদিকের ভাই মারা যাবার পর মৃতদেহ নিয়ে এসে যখন শ্মশানে পৌঁছায় দাহ করার জন্য। তখন তার কাছে পনের হাজার টাকা চাওয়া হয় এবং এই টাকা না দিলে গাড়ি থেকে বডি নামানো তো দূর অস্ত, দাহ পর্যন্ত করবে না বলে জানিয়ে দেয় দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই সংস্থার কর্মীরা। নিমেষে খবর ছড়িয়ে পড়ে সংবাদ মহলে। দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশকে এই খবর জানানো হয় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং তাদেরকে বুঝিয়ে ওয়ার্নিং করা হয়। এই রকম টাকা তোলাবাজি বন্ধ করার জন্য।
এরপর দীর্ঘক্ষণ বাক-বিতণ্ডার পর ভোর চারটে নাগাদ মৃতদেহ দাহ হয় তবুও 4000 টাকা দিতে হয় সমস্তটাই মোবাইল বন্দী করা হয়েছে। বিশিষ্ট পুলিশ আধিকারিক সহ দুর্গাপুরের মহকুমা শাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মৃতের পরিবার আজ লিখিত অভিযোগ জানাবে মহকুমাশাসকের কাছে। দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগোস্থি নিজেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁকে ফোনে বিষয়টি জানানোর পর তিনি বলেন, দুর্গাপুর কে বদনাম করার জন্য শ্মশানের দায়িত্ব যে মেয়র পরিষদ এর রয়েছে তার কোনো হেলদোল নেই, এই কালোবাজারি বন্ধ করার। তিনি অফিসে আসেন না এবং তিনি এই ব্যাপারটার দিকে লক্ষ্য করছেন না। স্থানীয় কাউন্সিলর ওই ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না কেন সেগুলো তদন্ত হওয়া দরকার রয়েছে।