সৌমী মণ্ডল, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, বাঁকুড়াঃ গতকাল জঙ্গলমহলের সারেঙ্গায় এক ব্যাক্তির বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার হল। সারেঙ্গা লাগোয়া কাশিবন এলাকায় একটি মোটর সাইকেল শোরুমের পাশে একটি নালায় একটি বস্তা দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে সারেঙ্গা থানা থেকে পুলিশ এসে উদ্ধার করে বস্তাবন্দী মৃতদেহ। ততক্ষণে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
লোকজনের ভিড় বেড়েছে। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। মৃত ব্যক্তি সারেঙ্গার বাসিন্দা অনাদি লোহার (৪৯)। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে মাঠের নালাতে ওই বস্তা দেখতে পান স্থানীয়রা। তারপর কাছে গিয়ে দেখেন, বস্তার মধ্যে মৃতদেহ রয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। খবর যায় পুলিশে, পুলিশে এসে দেহ নিয়ে যায়। স্থানীয়রা বলেন, বাড়িতে তাঁর এক নাবালক ছেলে ও এক নাবালক মেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্হানীয় তৃনমূল নেতা তথা সারেঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত মিত্র বলেন, অনাদি মাতাল ছিল ঠিকই তবে কারো সাথে ওর কোন রকম অশান্তি ছিল না। ছেলেটি খুবই ভদ্র ছিল মদ খেলেও সবাইকে যথেষ্ট সম্মান করতো। তার স্ত্রী বর্তমানে বাপের বাড়িতে রয়েছে তাকে খবর দেওয়া হয়েছে।
অনাদি খুন হয়ে যাবে এটা ভাবতে অবাক লাগছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। অনাদি লোহার এর পরিবারের সদস্যা জ্যোৎস্না লোহার শিবানী লোহার রা অভিযোগ করে বলেন যারা ওকে খুন করেছে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ফাঁসি হোক। পুলিশ খুনিদের খুঁজে বার করুন। ওকে খুন করা হয়েছে তা না হলে নিজে নিজেই বস্তার মধ্যে বন্দি হয়ে যেতে পারে কি? বৃদ্ধা নিয়তি রাউত বলেন মদ খেলেও আমাদের কখনো অসম্মান করেনি। খুনের অভিযোগ মৃতের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবী করে দোষী দের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেছেন প্রতিবেশীরাও। সারেঙ্গা থানার পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে