কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শনিবার মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরের বুকে মিঠুন চক্রবর্তীর সভায় ভিড় করলেন কয়েক হাজার মানুষ

Published By: Khabar India Online | Published On:

সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ   শুধুমাত্র শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে ৫০০ জন লোককে নিয়ে ছোটখাটো সভা করা যাবে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কমিশনের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শনিবার মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরের বুকে মিঠুন চক্রবর্তীর সভায় ভিড় করলেন কয়েক হাজার মানুষ। আর সেই ভিড়ের জেরেই ভাঙল কোভিড-১৯ এর বিধি।

নানা সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি ঘুরে বেড়ানোর পরে নির্বাচন কমিশনের তরফে মালদা জেলা শাসক অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসাবে বিজেপির বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। ঘটনার জেরে চাপে পড়েন ‘মহাগুরু’ও। কেননা এই অভিযোগের জেরেই গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। গ্রেফতার হতে পারেন বিজেপির প্রার্থীও।

আরও পড়ুন -  এবার কামুক চোখে ভিডিও বানিয়ে চর্চায় এলেন উরফির বোন উরুসা জাভেদ, নেট ভক্তদের মুখে কথা নেই এই দেখে

কোভিডবিধি শিকেয় তুলে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে এসে নির্বাচনী প্রচার সভার আয়োজন করে বিজেপি। মালদার বৈষ্ণবনগর এলাকায় একটি ফুটবল ময়দানে বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন কুমার সরকারের সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়ে ওই সভার আয়োজন করে ব্লক বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সভায় কমিশনের নির্দেশ মেনে ৫০০ লোকের বসার ব্যবস্থা করা হলেও মিঠুন চক্রবর্তী ও হেলিকপ্টার দেখতে হাজার হাজার লোক উপস্থিত হন বৈষ্ণবনগরের ওই ময়দানে। ফলে করোনাবিধি তখন আর মানা যায়নি।

আরও পড়ুন -  বাড়ি বাড়ি পৌঁছে বয়স্কদের ভোট গ্রহণ করলেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা

মালদা জেলা যখন কোভিডে কাঁপছে তখন হাজার হাজার লোক নিয়ে এদিনের সভা করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে জেলাজুড়েই। মিঠুন চক্রবর্তীর জনসভা নির্বাচন কমিশনের আইনকে অমান্য করেছে বলেই বিরোধীরা দাবি করেন। মিঠুন চক্রবর্তীর ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন কুমার সরকার, মালদা জেলা বিজেপির সম্পাদক মনোজ কুমার মন্ডল সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন -  Imran Khan: পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন, ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করলো

এরপরে জেলা শাসক এই সভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে কোভিডবিধিভঙ্গ করে প্রায় ২৫০০ মানুষের উপস্থিতিতে সভা করার অভিযোগ তুলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস।