খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে ‘আনন্দম : সুখের কেন্দ্র’-এর উদ্বোধন করেছেন। জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল শ্রী মনোজ সিনহা, আর্ট অফ লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আইআইএম জম্মুর বোর্ড অফ গর্ভনর্সের চেয়ারম্যান ডঃ মিলিন্দ কাম্বল অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইআইএম জম্মুর অধিকর্তা অধ্যাপক বি এস সহায় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শ্রী পোখরিয়াল আইআইএম জম্মুকে এই নতুন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং ‘আনন্দম : সুখের কেন্দ্র’-এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আনন্দের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের বিষয়টি সমগ্র জাতির ক্ষমতায়ণের পথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে নালন্দা ও তক্ষশীলার মতো প্রাচীন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার ঐতিহ্যকে আগামীদিনে ফিরিয়ে আনা সম্ভবপর হবে। তিনি আরও জানান যে ‘আনন্দম : সুখের কেন্দ্র’টি কিভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০র সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। এর মূল লক্ষ্যই হল ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা। শ্রী পোখরিয়াল দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরণের কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান জানান। এই ধরণের কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপমুক্ত জীবন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শিক্ষকদের পাঠ্যক্রম শেষ করানো, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জন এবং পেশাদার ও ব্যক্তিগত জীবনে চাপের কারণে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের অনেক সময় নানান সমস্যায় পড়তে হয়। এরফলে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও হতাশা ও উদ্বেগ দেখা যায়। সুতরাং এই কেন্দ্রটি মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে বিশেষ সাহায্য করবে এবং শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক জীবন গড়ে তুলতে সহায়তা প্রদান করবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইআইএম জম্মুতে যেভাবে এই কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে সেবিষয়ে সকল স্তরে প্রচার পাওয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আইআইএম জম্মুতে ‘আনন্দম’ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই হল সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখা । এই কেন্দ্রে নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়েরই শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করবে। শ্রী পোখরিয়াল জানান, সচেতনতা প্রসারের মাধ্যমে এই কেন্দ্রের সাহায্যে সকলের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। এতে জীবনশক্তির সঞ্চার ঘটবে। ধ্যানের অভ্যাস এবং শারীরিক অনুশীলন সুস্থ জীবন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান যে ‘আনন্দম : সুখের কেন্দ্র’টি মূলত ৫টি কর্মকান্ডের মধ্যে বিভক্ত। এগুলি হল- পরামর্শ প্রদান, সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখা , সুখের উন্নয়নের ওপর বৈকল্পিক পাঠ্যক্রম, গবেষণা এবং নেতৃত্ব প্রদান ও ফ্যাকাল্টির উন্নয়ন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই কেন্দ্রের জন্য শিক্ষা, গবেষণা এবং শিল্পক্ষেত্রে জড়িত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা পর্ষদ গঠন করা হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল শ্রী সিনহা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন। সুখের কেন্দ্রটি হিসেবে পরিচিত ‘আনন্দম’ নামটি ভারতীয় জ্ঞানের ঐতিহ্য থেকে নেওয়া হয়েছে, যার মূল অর্থ হল ‘আনন্দ’। ‘আনন্দম’ কেবল সুখের জন্যই নয় সত্যকে জানার, ভালো কাজ করা এবং চারপাশের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার মত বিশেষ অর্থ বহন করে। ‘আনন্দম’ এমন একটি শব্দ যার নিগূঢ় অর্থ হল সকলের মঙ্গল কামনা করা। সূত্র – পিআইবি।