খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ যেসব প্রবীণ নাগরিক পেনশন পান তাঁদের জীবন শংসাপত্র সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সরকার তার জন্য প্রযুক্তিগত কিছু ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছে।
যাঁদের বয়স ৮০ বা তার উর্দ্ধে তাঁদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে পয়লা অক্টোবর থেকে একটি বিশেষ কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে পয়লা নভেম্বর থেকে জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার জন্য যে ভিড় হয় সেটির থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
পেনশন ও পেনশন কল্যাণ দপ্তর পেশনার্স অ্যাসোসিয়েশনগুলির সহযোগিতায় ২০১৮ সাল থেকে দেশের ৭টি শহরে ডিএলসি ফ্রম হোম ক্যাম্পেন কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রবীণ পেনশনভোগীদের এর ফলে বাড়ি থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জীবন শংসাপত্র বা লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের আওতায় ২৪টি শহরকে নিয়ে আসা হয়েছে। নিবন্ধীকৃত পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাহায্যে এ বছরেও এই সুবিধা রাখা হচ্ছে।
পোস্টম্যান এবং গ্রামীণ ডাক সেবকদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের সুবিধা পেতে পেনশন ও পেনশন কল্যাণ দপ্তর তাঁদের সহযোগিতা নিয়েছে। পোস্টম্যান এবং গ্রামীণ ডাক সেবকরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পেনশনভোগীদের লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবন শংসাপত্র তাঁদের নিজেদের বাড়ি থেকে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এর জন্য পোস্টম্যান এবং গ্রামীণ ডাক সেবকদের অত্যন্ত সামান্য অর্থ দিতে হয়। কিন্তু ব্যাঙ্কের লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর সমস্যা থেকে অব্যাহতি মেলে।
বায়োমেট্রিক ব্যবস্থাপনায় অনেক সময় সমস্যা দেখা দেওয়ায় আইআরআইএস যন্ত্রের সাহায্যে পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ কাজে ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক এগিয়ে এসেছে। তারা তাদের গ্রাহকদের জন্য দেশের ১০০টি বড় শহরে দুয়ারে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা প্রকল্প চালু করেছে। পেনশনভোগীরা এই ব্যবস্থার মাধ্যমে জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন। দপ্তর ব্যাঙ্কগুলিকে আরও নির্দেশ দিয়েছে ভিডিওর মাধ্যমে গ্রাহককে শনাক্ত করতে হবে।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কর্মী, জনঅভিযোগ, পেনশন, আণবিক শক্তি, মহাকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জীতেন্দ্র সিং আজ লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।