পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় প্রাণী সম্পদ মিশনের বর্তমান পরিস্থিতি

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ   পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় প্রাণী সম্পদ মিশনের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ন করা হয়েছে।

দার্জিলিং জেলায় কোভিড জনিত অতিমারির পরিপ্রেক্ষিতে দুগ্ধ সমবায় এবং কৃষক সংস্থাগুলিকে কোন কেন্দ্রীয় সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কালিম্পং জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের দুগ্ধ ক্ষেত্রে জাতীয় গোকুল মিশন-এর মাধ্যমে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্পটি সূচনা হওয়ার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ৪০.০৯ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং কালিম্পং সহ রাজ্যের প্রায় সবকটি জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কাজ চলছে।

আরও পড়ুন -  তিন দিনের ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া মেগা হোম স্টে উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায়

জাতীয় প্রাণী সম্পদ মিশনের মাধ্যমে ভেড়া, ছাগল, হাঁস, মুরগি পালন এবং পশু খাদ্য উৎপাদনের বিষয়ে ২০১৪ সাল থেকে আরও একটি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প এই মিশনের আওতায় এসেছে। কেন্দ্রীয় সহায়তায় এই প্রকল্পটি শুরুর পর থেকে রাজ্যে এ পর্যন্ত ৩৩৩২.৩৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাতেও রয়েছে।

আরও পড়ুন -  একের পর এক বাতিল হচ্ছে অধিকাংশ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদন, কারন জানলে আপনিও হবেন অবাক

প্রাণিসম্পদ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও রোগ নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এজন্য কেন্দ্রীয় সরকার সহায়তা প্রদান করেছে।

মৎস্য খাতে, দুটি প্রকল্প, যার একটি প্রধানমন্ত্রী মৎস্যসম্পদ যোজনা এবং অন্যটি ফিশারিজ এন্ড একোয়াকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড পশ্চিমবঙ্গের জন্যও বরাদ্দ রয়েছে। এজন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে ৭৫২২.৪৮ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই তহবিল থেকে অর্থ নেওয়ার জন্য বিগত তিন বছরে কোন প্রকল্প জমা দেয়নি।

আরও পড়ুন -  কেন্দ্র এবং রাজ্যকে আবেদন বাস মালিকদের, একগুচ্ছ দাবি

জাতীয় প্রাণী সম্পদ মিশনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে ১০৬১.৩৬ লক্ষ টাকা।

২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে দেওয়া হয়েছে ১৫৪.২৭৮৮ লক্ষ টাকা।

২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেওয়া হয়েছে ৭৯.০৬ লক্ষ টাকা।

কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশু পালন এবং দুগ্ধ শিল্প মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর সঞ্জীব কুমার বালিয়ান এই তথ্য জানিয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।