খড়গপুর আইআইটি ও ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় ভারত-ব্রিটেন দ্বৈত ডক্টরাল কর্মসূচির সূচনা করেছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ   খড়গপুর আইআইটি ও ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় ভারত-ব্রিটেন দ্বৈত পিএইচডি কর্মসূচির সূচনা করেছে। দুটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে আরেকটি পালক সংযোজিত হল। এর ফলে গবেষণা ক্ষেত্রে এই দুই প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করবে। ম্যাঞ্চেস্টার এবং খড়গপুর দুটি জায়গাতেই পরিবেশ ভূ-রসায়ন, জৈব উপাদান ও চতুর্থ পর্যায়ের শিল্পের মতো বিভিন্ন বিষয়ে কাজ চালানো হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়াও দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ছাত্রছাত্রীরা পাবেন।

প্রাথমিক পর্যায়ে এই কর্মসূচির সুবিধা ভারতের আইআইটি এবং আইআইএসসি-র ছাত্রছাত্রীরা জুলাই মাস থেকে পাবেন। সফল ছাত্রছাত্রীরা দুটি প্রতিষ্ঠানেই কাজ করার সুযোগ পাবেন। প্রথম বর্ষে খড়গপুর আইআইটিতে গবেষণার কাজ করে পরবর্তী পর্বে গবেষণার চাহিদা অনুযায়ী খড়গপুর ও ম্যাঞ্চেস্টারে একযোগে কাজ করানো হবে।

আরও পড়ুন -  Question: বামফ্রন্টের পথেই কী হাঁটছে ঘাসফুল ? প্রশ্ন উঠছে

দুটি প্রতিষ্ঠান এককভাবে পিএইচডি প্রদান করবে। দুটি সংস্থার ছাত্রছাত্রীরাই অভিন্ন গবেষণার সুযোগ পাবেন। আইআইটি খড়গপুর ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ ধরণের কর্মসূচি শুরু করেছে। এই প্রথম ব্রিটেনের কোন বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যবস্থায় যুক্ত হল।

আরও পড়ুন -  Kofta: মুরগির মাংসের বাটার চিকেন কোফতা

আইআইটি খড়গপুরের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক বৈদুর্য্য ভট্টাচার্য এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের অন্যতম কারিগর। তিনি জানিয়েছেন, আস্থা ও সম্মানের ওপর ভিত্তি করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খড়গপুর আইআইটি লেখাপড়ার গুণমান এবং গবেষণার বিষয়ে যে সাফল্য অর্জন করেছে, নতুন এই আন্তর্জাতিক কৌশলের অঙ্গ হিসেবে ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী এই কর্মসূচিতে যুক্ত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল, অধ্যাপক স্টিফেন ফ্লিন্ট বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছাত্রছাত্রীরা পিএইচডি-র কাজটি করবেন। তাঁরা দু-বছর ম্যাঞ্চেস্টার এবং দু-বছর খড়গপুরে থাকবেন।

আরও পড়ুন -  Bengali New Year: বাঙালির নববর্ষেই খুলতে চলেছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি নতুন থানা

দুটি প্রতিষ্ঠানের ফ্যাকাল্টির সদস্যরা যৌথ কর্মসূচির বোর্ডের অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলি নিয়ে কাজ করবেন। ২০১৭ সালে এ সংক্রান্ত যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয় তাতে জৈব চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যাদি, বস্ত্রবয়ন শিল্প, পৃথিবী-পরিবেশ-জল সংক্রান্ত বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে একযোগে কাজ চলবে। এই কর্মসূচিতে বাছাই করা ছাত্রছাত্রীরা আংশিক এবং পূর্ণ- দু-ধরণের সহযোগিতামূলক তহবিলের থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাবেন। সূত্র – পিআইবি।