সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ
মালদা জেলা সংশোধনাগার থেকে রহস্যজনক অবস্থায় এক বিচারাধীন বন্দীর দেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। বুধবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে জেলা সংশোধনাগারে। ঘটনার খবর পেয়ে বামনগোলা থানা এলাকা থেকে জেলা সংশোধনাগারে এসে পৌঁছায় মৃত বিচারাধীন বন্দীর পরিবার। মৃতের স্ত্রী’র অভিযোগ, তার স্বামীকে মারধর করার ফলেই মৃত্যু হয়েছে। যদিও এব্যাপারে সংশোধনের কর্তৃপক্ষ কোনরকম মন্তব্য করেনি।
পুলিশ ও জেলা সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুকুমার মন্ডল (৪৫)। তার বাড়ি বামনগোলা থানার চাঁদপুর এলাকায়। মঙ্গলবার এলাকারই এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। ওই দিনই মালদা আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত সুকুমার মন্ডলকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। আর এই ঘটনার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই রহস্যজনকভাবেই সংশোধনাগারের একটি ঘর থেকেই ওই বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও মৃতের পায়ে রক্ত লেগে থাকার কারণ নিয়ে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছেন পরিবারের লোকেরা।
মৃতের স্ত্রী অভিযোগ, আমার স্বামী আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। তারপরে মঙ্গলবার ওকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। ও যদি আত্মহত্যা করতো তাহলে পায়ে কেন চাপ চাপ রক্ত লেগেছিল। আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে, তাই এই ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
এদিন মালদা জেলা সংশোধনাগারে তদন্তে আসেন, মালদা কালেক্টরেটের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস। তাঁর উপস্থিতিতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস জানিয়েছেন, সংশোধনাগারের একটি ওয়ার্ডের জানালার মধ্যেই গলায় গামছা জড়িয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল সুকুমার মণ্ডলের দেহ। সেটি উদ্ধারের পর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ওই বিচারাধীন বন্দীর পায়ে রক্ত লেগে ছিল। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারবো না। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।