জঙ্গলমহলের ফুলকুসমায় যোগী আদিত্যনাথের সভা

Published By: Khabar India Online | Published On:

সৌমী মন্ডল, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, বাঁকুড়াঃ   মঙ্গলবার বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রাইপুর ব্লকের ফুলকুসমায় উত্তরপ্রদেশ এর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জনসভা কে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল। ফুলকুসমা বালি মাঠে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন।
এদিন নির্দিষ্ট সময়ে দু ঘন্টা পরে যোগী আদিত্যনাথ হেলিকপ্টার থেকে নেমে সভামঞ্চে আসেন। একটা ২১ মিনিট নাগাদ তিনি বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বাংলার মনীষীদের একের পর এক নাম করে বাংলার বীর মাটিকে প্রণাম করেন। তিনি বলেন, বাংলার তথা ভারতের সনাতন ধর্মকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ যিনি এই বাংলার সন্তান।

আরও পড়ুন -  Dance Video: নিজের বাড়ির ছাদে নেচে ভাইরাল তরুণী “সুন্দরী কমলা” গানে, সেই ভিডিও একবার দেখুন

শ্রীরাম বললে প্রতিবাদ করছেন দিদি। অথচ পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড় আছে যেখানে রামচন্দ্র এবং সীতা এসেছিলেন। কেউ যদি রাম নাম ত্যাগ করে তাহলে সে সব কিছুই হারাবে সর্বস্বান্ত হবে। তিনি বলেন এই দিদি বাংলায় দুর্গাপূজায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।করোনা মহামারীর সময় মোদীজি গরিব কল্যাণ যোজনায় কোটি কোটি দিয়েছেন, মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দিয়েছেন, প্যাকেজ দিয়েছেন আর সেই প্যাকেজ তৃণমূলের গুন্ডারা লুট করেছে।এই রাজ্যে দিদির বিরোধিতায় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প, কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প থেকে গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। যার অন্যতম কারণ এই যোজনায় ভাগ দিতে হবে তৃণমূলের গুন্ডাদের। তৃণমূল ,কংগ্রেস ,কমিউনিস্টদের তোলাবাজি লুটতরাজ বন্ধ হবে তেমনি ওদের দোকানের ঝাঁপ পড়ে যাবে। তিনি বলেন যে সকল রাজ্যে বিজেপি সেখানেই ডবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে। এরপর তিনি নিজের রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন -  Subrata Mukherjee: সকলের হৃদয় ভারাক্রান্ত, মিষ্টি মধুর সম্পর্ক ছিল সব রাজনৈতিক মহলে ‌

যোগী আদিত্যনাথ শ্যামাপ্রসাদের বিষয়ে বলেনএই বাংলার ছেলে শ্যামাপ্রসাদ বলেছিলেন এক দেশে দুই প্রধান দুই নিশান চলতে পারে না। ১৯৫২ সালের অভিশাপ ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছেন মোদি। যার পরিণামে কাশ্মীরকে সন্ত্রাস মুক্ত করা গেছে। তিনি বলেন মোদিজীর নেতৃত্বে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হচ্ছে, দিদি গিয়ে একবার দেখে আসবেন। রামের বিরোধিতা করলে মুছে যাবেন। উত্তরপ্রদেশে যারা রামের বিরোধিতা করেছিলেন তারা আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পশ্চিমবাংলায় বিজেপিকে আনতে হবে তাহলেই উন্নয়ন হবে।

আরও পড়ুন -  শেষ রবিবারের প্রচারে জমজমাট জঙ্গলমহল