খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ইস্পাত ক্ষেত্রে গতি আনতে সরকার জাতীয় ইস্পাত নীতি গঠনের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক ইস্পাত শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইস্পাত উৎপাদন ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে। ইস্পাত একটি বিনিয়ন্ত্রিত সংস্থা। সরকার ইস্পাত ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য নানান সুযোগ সুবিধার পরিবেশ তৈরি করেছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলি হল :-
ক) ‘অভ্যন্তরীণ উৎপাদিত লোহা ও ইস্পাত পণ্য’ (ডিএমআইঅ্যান্ডএসপি) নীতি গঠন করা হয়েছে যাতে দেশীয়ভাবে ইস্পাত উৎপাদনে খরচ সাশ্রয় হয় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
খ) ইস্পাত ক্ষেত্রে অব্যবহৃত ছাঁট মালকে যাতে দেশের অভ্যন্তরে কাজে লাগানো যায় তার জন্য নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
গ) গুণমান সম্পন্নহীন ইস্পাত উৎপাদন ও আমদানি রোধে ইস্পাতের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ঘ) ইস্পাত আমদানি ক্ষেত্রে আগে থেকেই নাম নথিভুক্তকরণের জন্য ‘ইস্পাত আমদানি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা’ (এসআইএমএস) চালু করা হয়েছে।
ঙ) শিল্প সমিতি ও দেশের ইস্পাত শিল্পপতি সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রয়োজনীয় চাহিদা চিহ্নিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক/দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়সাধন গড়ে তোলা হয়েছে।
চ) দেশে ইস্পাত ক্ষেত্রে সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধির জন্য রেল, প্রতিরক্ষা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, আবাসন, অসামরিক বিমান চলাচল, সড়ক পরিবহণ এবং মহাসড়ক, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট পক্ষকেও যুক্ত করা হয়েছে।
ছ) সম্প্রতি সরকারের ঘোষিত ‘উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত উৎসাহভাতা’ (পিএলআই) প্রকল্পের আওতায় ‘স্পেশালিটি স্টিল’ বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সূত্র – পিআইবি।