খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ অন্য দাঁতগুলো সঠিক সময়ে উঠলেও আক্কেল দাঁত উঠতে সময় নেয় অপেক্ষাকৃত বেশি। একদম শেষ প্রান্তের দাঁত হলো আক্কেল দাঁত। সবার শেষে উঠলেও সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা। দাঁতের ব্যথার কষ্ট ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। আক্কেল দাঁতের যন্ত্রণার কারণে অনেক সময় চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয়। তখন দাঁত তোলা কিংবা দাঁতে অস্ত্রপাচারের প্রয়োজন হলে আরও বেশি যন্ত্রণা পেতে হয়। তাই আক্কেল দাঁতের কারণে ব্যথায় ভুগলে মেনে চলতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়। সেসব উপায় মেনে চললে দাঁতে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। আক্কেল দাঁতের কারণে শুধু যে ব্যথা হয় তাই নয়, এই দাঁতের কারণে সুস্থ দাঁতগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেক সময় আক্কেল দাঁত ভালোভাবে উঠতে না পেরে ভেঙে মাড়ির ভেতরে আটকে যায়। যার ফলস্বরূপ ব্যথা আরও বাড়তে পারে।
বয়স কম হলে সেই ভাঙা দাঁত তুলে ফেলা সহজ হয়। কিন্তু বয়স বেড়ে গেলে মুখের ভেতরের হাড় শক্ত হয়ে যায়। ফলে সেই দাঁত তোলা সহজ হয় না। জরুরি মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তার আগে জেনে নিন আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায়। বিশেষ করে রূপচর্চার কাজে অ্যালোভেরা বেশি পরিচিত। এটি মাড়ির ফোলাভাব দূর করতে সাহায্য করে। তাই দাঁতে ব্যথা হলে সেখানে অ্যালোভেরার ভেতরের শাঁসটুকু ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আক্রান্ত স্থান শীতল থাকবে এবং ব্যথা কমবে।
গরম জল ও লবণ দিয়ে গার্গল করলে উপকার পাওয়া যায় আক্কেল দাঁতের ব্যথায়। এর ফলে দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর হবে এবং মাড়ি সুস্থ থাকবে। অনেক সময় আক্কেল দাঁতের কারণে মাড়িতে সিস্ট এবং অন্য দাঁতে ব্যথা হতে পারে। হালকা গরম জলে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ইনফেকশনের ভয় দূর হবে। তুলসি পাতা বেশ সহায়ক। তুলসি পাতায় থাকা উপকারী উপাদান দাঁতের ব্যথা ও প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। এরপর তাতে পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে মাড়িতে লাগাতে হবে। পাশাপাশি তুলসি পাতা দিয়ে চা তৈরি করেও খেতে পারেন।লবঙ্গ তেল দাঁত ব্যথা দূর করতে কার্যকরী। লবঙ্গের তেল ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। ছবিঃ সংগৃহীত।