ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী মহান ব্যক্তিত্বদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ   ভগবান রাম, মহাভারত, হলদিঘাটি এবং শিবাজীর অদম্য সাহসিকতা প্রদর্শনের সময় থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইগুলি একই চেতনা ও বীরত্বের প্রতিফলন ঘটায় : প্রধানমন্ত্রী

আমাদের সাধু-সন্ত, মহন্ত এবং আচার্যরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে স্বাধীনতার বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত রেখেছিলেন : প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী, স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত লড়াই ও সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি ভারতের গৌরবময় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যাঁরা যোগ্য স্বীকৃতি পাননি এবং যে সমস্ত ঘটনা লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে গিয়েছিল, তাঁদের প্রতিও যথার্থ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শ্রী মোদী আজ আমেদাবাদে সবরমতী আশ্রমে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (ইন্ডিয়া@৭৫) – এর সূচনা করে ভাষণ দিচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন -  Srabanti Chatterjee: লাল টুকটুকে বিকিনি ব্লাউজ, ওড়নার আড়ালে দৃশ্যমান, শ্রাবন্তী ঝড় তুললেন

স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বল্প পরিচিত লড়াইগুলির ভুয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সংগ্রামের ঘটনাই ছিল অসত্য শক্তিগুলির বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় আস্থার বেনজির প্রতিফলন এবং ভারতের স্বাধীনতার প্রাণশক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত এই লড়াইগুলি ভগবান রাম, মহাভারতের কুরুক্ষেত্র, হলদিঘাটি এবং বীর শিবাজীর অদম্য সাহসিকতা প্রদর্শনের সময় থেকেই একই চেতনা ও বীরত্বের নিদর্শন রেখে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে কোল, খাসি, সাঁওতাল, নাগা, ভিল, মুন্ডা, সন্যাসী , রামোসি, কিট্টুর আন্দোলন, ত্রিবাঙ্কুর আন্দোলন, বরদোলোই সত্যাগ্রহ, চম্পারণ সত্যাগ্রহ, সম্বলপুর, চুয়ার বিদ্রোহ, বুন্দেল এবং কুকা বিদ্রোহ ও আন্দোলনগুলির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের আন্দোলনগুলি দেশের প্রতিটি প্রান্তে স্বাধীনতার বহ্নিশিখা অত্যুজ্বল রেখেছিল। এমনকি, শিখগুরুরা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সুরক্ষায় সক্সমগ্র জাতিকে উদ্দীপ্ত করে তুলেছিলেন।

আরও পড়ুন -  বিদুৎ গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, করোনার পঞ্চম ঢেউ

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, দেশের প্রতিটি প্রান্তে আমাদের সাধু-সন্ত, মহন্ত ও আচার্যরা স্বাধীনতার বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত রাখতে যে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়েছিলেন, তা আমাদের মনে রাখতে হবে। এই সমস্ত ঘটনা সারা দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিল।

শ্রী মোদী বলেন, পূর্বদিকে চৈতন্য মহাপ্রভু ও শ্রীমন্ত শঙ্করদেব সমাজকে আলোর দিশা দেখিয়েছিলেন এবং সমাজের প্রত্যেককে লক্ষ্য পূরণের প্রতি সঙ্কল্পবদ্ধ করে তুলেছিলেন। পশ্চিম দিকে মীরাবাঈ, একনাথ, তুকারাম, রামদাস ও নার্সি মেহতা; উত্তরে সন্ত রামানন্দ, কবীরদাস, গোস্বামী তুলসীদাস, সুরদাস, গুরুনানকদেব, সন্ত রাই দাস সমাজকে আলোর দিশা দেখানোর গুরু দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একইভাবে, দক্ষিণে মাধবাচার্য, নিম্বার্কাচার্য, বল্লভাচার্য ও রামানুজাচার্য এই দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তূলে নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন -  ‘ ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন '

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভক্তি আন্দোলনের সময় মালিক মহম্মদ জয়সি, রস খান, সূরদাস, কেশবদাস এবং বিদ্যাপতি সমাজকে তার ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এই মহান ব্যক্তিত্বরাই সারা দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ে এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য যোগ করেছিলেন। মহান এই ব্যক্তিত্বদের জীবনগাঁথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। মহান এই ব্যক্তিত্বদের প্রেরণাদায়ক ঘটনাগুলি আমাদের নতুন প্রজন্মকে একতার ও মূল্যবোধের শিক্ষা দেবে এবং লক্ষ্যপূরণে উদ্বুদ্ধ করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। সূত্র – পিআইবি।