ওয়াসিম বারি, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, উঃ ২৪ পরগণাঃ
ধর্মীয় বেড়াজাল টপকে আজ মহা শিবরাত্রির পীঠস্থান বারাসতের ” কাঞ্চনতলা”। শিবরাত্রির পুণ্যতিথি শুধু ধর্মের বেড়াজালে আটকে নেই। শিবরাত্রি ভারতীয় সংস্কৃতিতে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। এই বিশেষ পুণ্যতিথি মহাশিবরাত্রি বলেই পরিচিত। ধর্মীয় আচার পালনের পীঠস্থান কাঞ্চনতলা কল্যাণ মন্দিরে মহাশিবরাত্রির শুভলগ্ন প্রতি বছরের মতো এ বছরেও পালিত হল ধুমধাম করে। বলা ভালো রীতি মেনেও বারাসাত বাদু বাজার সংলগ্ন কাঞ্চন তলা কল্যাণ মন্দিরে শিব রাত্রি পালন হল নিজস্ব আঙ্গিকে।
উৎসব উপলক্ষ্যে কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হয়। স্বাস্থবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে মন্দিরে এর সেবায়ত শ্রী শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় ভক্তদের মনোস্কামনা ও শুভকামনায় পুজো পাঠ এবং মঙ্গল যোগ্য আরতি করেন। ভক্তদের শিবের বন্দনায় এক অপূর্ব পরিমন্ডলে অনুভূত হয় শান্ত মায়াবী পরিবেশে। রাত যত বাড়তে থাকে মন্দির জনজোয়ারে ভেসে যায়। আগত ভক্তদের বিশ্বাস ও জনশ্রুতি যে, এই মন্দিরে ঈশ্বর জাগ্রত ও কল্যাণস্বরূপ। কিংবদন্তী এই ধর্মপীঠে বাবা ভোলা নাথ অত্যন্ত জাগ্রত। মনস্কামনা পূর্ণ করার আদর্শ স্থান কল্যাণ মন্দির। অতি নিষ্ঠা ভরে সেবায়েত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় পূজা এবং যজ্ঞাদি সম্পন্ন করেন। মূল সেবায়েত বংশানুক্রমে পরম্পরা মেনে যে পূজাদি করেন তা যেমন মনোজ্ঞ তেমনই কল্যাণকর। পূজা শেষে প্রসাদ গ্রহণ করেন অগণিত মানুষ। উৎসবকে ঘিরে মন্দির প্রাঙ্গণ রূপ নেয় মিলন মেলার। ধর্ম আর সংস্কৃতির আবহে পরম শান্তি বোধ করে প্রতি ভক্ত অনুভব করেন পরমশক্তির এক সুমধুর পরশ।