খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ সিএসআইআর-সিএমইআরআই-এর পক্ষ থেকে আজ প্রথম কৃষি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সিএসআইআর-এর মহানির্দেশক ডঃ শেখর সি মান্ডে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সিএসআইআর-সিএমইআরআই-এর নির্দেশক অধ্যাপক হরিশ হিরানী, সিএসআইআর-আইএইচবিটি-র নির্দেশক ডঃ সঞ্জয় কুমার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এই কৃষি সম্মেলনে কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির পরীক্ষাকেন্দ্রর উদ্বোধন করা হয়েছে। বৈদ্যুতিন ট্র্যাক্টর, কৃষি কাজে ব্যবহৃত বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনা, বিশ্বের বৃহত্তম সৌরশক্তি উৎপাদনকারী বৃক্ষ, জৈব বর্জ্য থেকে উৎপাদিত সার সহ বিভিন্ন উদ্ভাবন এই সম্মেলনে প্রদর্শিত হয়েছে।
ডঃ মান্ডে জানিয়েছেন, দেশের কৃষিকাজে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহার আরও বাড়াতে সিএসআইআর-সিএমইআরআই-এর প্রযুক্তি সাহায্য করছে। এর মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভর কৃষি অভিযান সফল হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার স্বপ্ন পূরণ হবে। দুর্গাপুরের সিএসআইআর-সিএমইআরআই সৌরশক্তি চালিত যে ট্র্যাক্টর উদ্ভাবন করেছে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মান্ডে বলেছেন, এর ফলে কৃষিকাজে পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রকে তিনি কৃষকদের কাছে সিএসআইআর-সিএমইআরআই-এর প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার জন্য সহযোগিতার আহ্বান করেছেন।
অধ্যাপক হিরানী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, তাঁদের সংস্থার উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কৃষিকাজে নানাভাবে সহায়তা করবে। স্বরাজ সোনালিকা, কৃষি শক্তির পর এখন বৈদ্যুতিন ট্র্যাক্টর কৃষকদের কৃষিকাজে সাহায্য করবে।
সিএসআইআর-আইএইচবিটি-র নির্দেশক ডঃ সঞ্জয় কুমার বলেছেন, কৃষকরা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন সেগুলি এই ধরণের সম্মেলনে তাঁরা বৈজ্ঞানিকদের জানাতে পারেন। এর ফলে তাঁদের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
পশ্চিমবঙ্গে সরকারের কৃষি বিভাগের উপ-নির্দেশক শ্রী সাগর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কৃষকরা সমাজের সবথেকে ভাল বিজ্ঞানী, তাঁরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রক্রিয়ার উন্নতিসাধনের চেষ্টা করেন। টিএমডি সোসিও-ইকোনমিক ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারফেসের ডঃ বিভা মালহোত্রা সেহনয় সিএসআইআর-সিএমইআরআই-এর উদ্ভাবিত ট্র্যাক্টরগুলি কৃষিকাজে যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সেকথা উল্লেখ করেন। বর্ধমানের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান ডঃ আজিজুর রহমান বলেছেন, কৃষিকাজে যন্ত্রপাতির ব্যবহার না বাড়ালে উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষি অর্থনীতির বিবেচনায় পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। নাবার্ডের বর্ধমানের ডিজিএম শ্রী পার্থ মন্ডল বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ৯৬ শতাংশ কৃষকই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি। সিএসআইআর-সিএমইআরআই-এর উদ্ভাবিত পুননর্বীকরণযোগ্য শক্তির সাহায্যে চালিত ট্র্যাক্টরের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, কৃষকদের এর ফলে জ্বালানী খাতে অর্থের সাশ্রয় হবে। সূত্র – পিআইবি।