খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের ৭০ শতাংশই মহারাষ্ট্র, কেরল, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ এবং ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা
ভারতে আজ সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৫৫। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের কেবল ৪.৮৯ শতাংশ সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত।
সুস্পষ্টভাবে মোট করোনায় আক্রান্তের প্রায় ৭০ শতাংশ (৬৯.৫৯ শতাংশ) ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। এগুলি হ’ল – মহারাষ্ট্র, কেরল, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ এবং ছত্তিশগড়।
মহারাষ্ট্রে আজ পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ হাজার ১৪। কেরলে এই সংখ্যা ৬৪ হাজার ৬১৫। অন্যদিকে, দিল্লিতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৭৩৪।
মহারাষ্ট্রে একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যায় ১ হাজার ৫২৬ জনের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ৭১৯ কমেছে।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৩ হাজার ৮২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৬.৯৩ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক ৬ হাজার ৪০৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত। দিল্লি থেকে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৫ জন। অন্যদিকে, কেরলে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৭৮।
দেশে করোনায় সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৭ লক্ষ ১৮ হাজার ৫১৭। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে আজ ৯৩.৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৩৯ হাজার ৩৭৯ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। এর মধ্যে ৭৮.১৫ শতাংশই সুস্থ হয়েছেন ১০টি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। কেরল থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৫ হাজার ৯৭০ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। দিল্লি থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৯৩৭ জন। মহারাষ্ট্রে আরোগ্য লাভের সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫।
দেশে করোনাজনিত কারণে মোট মৃত্যু ৮৩.৮০ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। এগুলি হ’ল – মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাডু, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশ।
মহারাষ্ট্র থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৬ হাজার ৮১৩ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে মোট মৃত্যুর ৩৪.৪৯ শতাংশ।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৪৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫.২০ শতাংশ মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে সর্বাধিক ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায়। মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন ৬৫ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676360 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কোভিড-১৯ এর বাধ্যবাধকতাগুলি প্রকৃত পক্ষে ন্যায় বিচারে পৌঁছনোর ও ন্যায় বিচারে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে আরও অনেক গঠনমূলক উপায় খুঁজতে সাহায্য করতে পারে
রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দ বৃহস্পতিবার সংবিধান কার্যকর করার ৭১তম বার্ষিকী উপলক্ষে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত সংবিধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন। এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভিডিও কনফারেন্স ও ই-আবেদনপত্র দাখিলের মতো প্রযুক্তিগত পন্থাগুলি সদ্ব্যবহার করে মহামারীর সময়ও সুপ্রিম কোর্ট স্বাভাবিক কাজকর্ম অব্যাহত রেখেছে এবং ন্যায়-বিচার পৌঁছে দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব কোনোভাবেই তাদেরকে প্রভাবিত ও হতোদমিত করতে না পারার জন্য তিনি বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ও আধিকারিকদের অদম্য মানসিকতার প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর বাধ্যবাধকতাগুলি প্রকৃত পক্ষে ন্যায় বিচারে পৌঁছনোর ও ন্যায় বিচারে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে আরও অনেক গঠনমূলক উপায় খুঁজতে সাহায্য করতে পারে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676171 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
প্রধানমন্ত্রী টিকা ব্যবস্থাপনা দেখতে আগামীকাল তিনটি শহরে যাবেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদনের বিষয়ে সরেজমিন দেখতে আগামীকাল তিনটি শহরে যাবেন। তিনি আহমেদাবাদে জাইডাস বায়োটেক পার্ক, হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেক ও পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াতে যাবেন। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইতে ভারত এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনায় ভবিষ্যতে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। এছাড়া দেশের নাগরিকদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা করা যাবে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676468 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
প্রধানমন্ত্রী রি-ইনভেস্ট ২০২০র উদ্বোধন করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃতীয় আন্তর্জাতিক পুনর্নবীকরণযোগ্য বিনিয়োগ বৈঠক ও প্রদর্শনী (রি-ইনভেস্ট ২০২০)এর উদ্বোধন করেছেন। নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানী মন্ত্রক এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনের মূল ভাবনা হল ‘স্থিতিশীল জ্বালানীর পরিবর্তনের জন্য উদ্ভাবন’। প্রধানমন্ত্রী পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানীর ক্ষেত্রে অল্প সময়ের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা মেগাওয়াট থেকে গিগাওয়াটে বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এরফলে ‘এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড’ নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই সমস্ত বিষয়গুলি রি-ইনভেস্টের পূর্ববর্তী সম্মেলনে আলোচিত হয়েছে। শ্রী মোদী বলেছেন গত ৬ বছরে ভারত এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। তিনি উল্লেখ করেছেন ভারতের উৎপাদন ক্ষমতা এবং পরিকাঠামো বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশের প্রতিটি নাগরিক বিদ্যুতের ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে তার সমস্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারছেন। তিনি বলেছেন, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানীর ক্ষমতার নিরিখে বিশ্বে ভারতের স্থান চতুর্থ এবং সমস্ত বড় বড় দেশগুলির মধ্যে এই বিকাশ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ভারতে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানীর ক্ষমতা ১৩৬ গিগাওয়াট, যা আসলে আমাদের মোট ক্ষমতার ৩৬ শতাংশ। ভারতের বার্ষিক পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানীর উৎপাদন ক্ষমতা কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুতের থেকেও ২০১৭ সালের পর থেকে বেশি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, গত ৬ বছরে ভারতের পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানীর ক্ষমতা আড়াই গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানী ক্ষেত্রে যখন এটি মূল্য সাশ্রয়ী ছিলনা তখনও বিনিয়োগ করা হয়েছে। এরফলে উৎপাদনের ব্যয় কমেছে। শ্রী মোদী বলেছেন, আমরা সারা বিশ্বকে দেখিয়েছি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বান্ধব নীতি, স্বাস্থ্যকর অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। জ্বালানীর ক্ষেত্রে দক্ষতা শুধুমাত্র একটি মন্ত্রক বা দপ্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। সরকারের এই বিষয়ে সার্বিকভাবে উদ্যোগী হতে হবে। আমাদের সব নীতিগুলি যাতে জ্বালানীর ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676128 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
তৃতীয় রি-ইনভেস্ট ২০২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676152 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
দেশে ডিজিটাল স্বাক্ষরতার প্রসারে গণআন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি
উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু আজ দেশে ডিজিটাল স্বাক্ষরতা প্রসারে গণআন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়ে সমস্ত প্রযুক্তি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই প্রয়াসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আহ্বান জানিয়েছেন। আদি শঙ্করাচার্যের জন্মভূমি কালাদি-তে আদি শঙ্করা ডিজিটাল অ্যাকাডেমির ভার্চ্যুয়ালি সূচনা করে উপ-রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বর্তমান জ্ঞান সমৃদ্ধ সমাজে তথ্যই হ’ল মূল প্রতিপাদ্য। তাই, যেখানেই বা যার কাছে সহজে তথ্য উপলব্ধ হবে, তার সুযোগ-সুবিধাও বেশি থাকবে। কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ অপ্রত্যাশিত বাধা-বিপত্তি এবং বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে শ্রী নাইডু বলেন, এই মহামারী লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের পরিবর্তে বাড়িতে থেকে পড়াশুনো করার জন্য একপ্রকার বাধ্য করেছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676422 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
অর্থ-ব্যবস্থায় খরচ বাড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মূলধন ব্যয় সংক্রান্ত পঞ্চম পর্যালোচনা বৈঠকে অর্থমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ এখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, খনি এবং আনবিক শক্তি দপ্তরের বিভাগীয় সচিব তথা এই দপ্তরগুলির অধীনস্থ ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডাইরেক্টরদের সঙ্গে মূলধনী ব্যয় পর্যালোচনা করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে আর্থিক বিকাশ হার ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে এটি অর্থমন্ত্রীর পঞ্চম বৈঠক। ২০২০-২১ এ ৬১ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা মূলধন ব্যয়ের যে লক্ষ্য স্থির হয়েছিল, তার মধ্যে চলতি বছরের ২৩শে নভেম্বর পর্যন্ত ২৪ হাজার ২২৭ কোটি টাকা অর্থাৎ ৩৯.৪ শতাংশ অর্থ মূলধনী ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কাজকর্ম পর্যালোচনা করে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, মূলধনী ব্যয় আর্থিক অগ্রগতির এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। তাই, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মূলধনী ব্যয় বাড়ানো প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মূলধনী ব্যয়ের ধার্য লক্ষ্য পূরণে সক্রিয় প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য অর্থমন্ত্রী তাঁদের কাজের প্রশংসা করেন। অর্থমন্ত্রী অবশ্য বলেন, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মূলধনী ব্যয়ের ধার্য ৭৫ শতাংশ অর্থ ব্যয়ে আরও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ১০০ শতাংশের বেশি মূলধনী ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণে শ্রীমতী সীতারমন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে আরও ভালো কাজকর্মের জন্য উৎসাহিত করেন, যাতে সঠিক সময়ের মধ্যেই মূলধনী ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণ করা যায়।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676355 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কামাত কমিটি যে ২৬টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছে তার জন্য এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে আপৎকালীন ঋণ সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা
কামাত কমিটি যে ২৬টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছে তার জন্য এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে আপৎকালীন ঋণ সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তার বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আপৎকালীন ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচির আওতায় যে সমস্ত সংস্থার বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটিরও বেশি কিন্তু ৫০০ কোটি টাকার কম তাদেরকে গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হওয়ার সময়ের মধ্যে বকেয়া মেটানোর ৩০ দিন বা সমতুল সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করলে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676184 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
সংবিধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে কেভাডিয়ায় আয়োজিত বিশেষ মাল্টি মিডিয়া প্রদর্শনী সাংসদ ও বিধায়কদের প্রশংসা পেয়েছে
রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে সমগ্র জাতি যখন ৭১তম সংবিধান দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে সংবিধানের মুখবন্ধ পাঠ করছেন, সে সময় গুজরাটের কেভাডিয়ায় আয়োজিত একটি বিশেষ প্রদর্শনী সাংসদ ও বিধায়কদের প্রশংসা পেয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের ব্যুরো অফ আউটরিচ কম্যুনিকেশন সংসদীয় সংগ্রহালয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। গুজরাটে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির কাছে সর্বভারতীয় প্রিসাইডিং অফিসারদের ৮০তম সম্মেলনের অঙ্গ হিসাবে এই বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রী ওম বিড়লা বুধবার প্রদর্শনীটির সূচনা করেন। প্রদর্শনীতে বৈদিক যুগ থেকে দেশে গণতন্ত্রের পরম্পরা এক সুদীর্ঘ যাত্রাপথের নানা নিদর্শন স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনীতে আধুনিক ভারত নির্মাণের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রদর্শনী ১ হাজার ৬০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ৫০টি প্রদর্শনী স্টল রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে, প্লাজমা ডিসপ্লে, ইন্টার্যা ক্টিভ ডিজিটাল ফ্লিপ বুক, ইন্টার্যাাক্টিভ স্ক্রিন, ডিজিটাল টাচ ওয়াল প্রভৃতি। মাল্টি মিডিয়া ব্যবহারের প্রশংসা করে শ্রী বিড়লা বলেন, ইন্টার্যািক্টিভ প্রদর্শনী তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টিকে আরও কৌতূহলী করে তোলে। তিনি আরও বলেন, মহাফেজখানার বিভিন্ন দলিল দস্তাবেজের প্রদর্শনী ভারতীয় সংবিধানের আঙ্গিককেই তুলে ধরে। প্রদর্শনীতে যে সমস্ত চলচ্চিত্রের ফুটেজ দেখানো হচ্ছে, সেগুলি সংবিধান সম্পর্কিত বিভিন্ন মণীষীদের ভাষণ, বক্তৃতা ও সুচিন্তিত মার্গ দর্শন ফুটে উঠেছে। মুম্বাইয়ে ফিল্ম ডিভিশন অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে এই দুর্লভ ফিল্মগুলি সংগ্রহ করে এখানে আনা হয়েছে। প্রদর্শনীতে ভারতীয় সংবিধানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের খসড়া কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর, সরকার ও সংসদের বিশিষ্ট ব্যক্তি, অতীত ও বর্তমান অধ্যক্ষদের প্রতিকৃতি প্রভৃতি প্রদর্শনীর আর্কাইভ ডিসপ্লেতে স্থান পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ যোশী ও বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেছেন।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676429 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থ-ব্যবস্থার পুনর্গঠনে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থ-ব্যবস্থার পুনর্গঠনে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গঠন করবে। বণিকসভা ফিকি এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর আয়োজিত গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সামিট ২০২০-তে অংশ নিয়ে বলেন, ভারতে যেভাবে বৈজ্ঞানিক মহলের উত্থান ঘটছে, তা মহামারীর চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায় নতুন দিশা দেখাতে পারে। কোভিড পরবর্তী সময়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অর্থ-ব্যবস্থায় আরও গতি ত্বরান্বিত হতে পারে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ডঃ সিং বলেন, করোনার সময় যখন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলি এক প্রকার পর্যটক শূন্য থেকেছে, তখন ভারতের উত্তর-পূর্ব ভার্চ্যুয়ালি পদ্ধতিতে পর্যটন গন্তব্য হিসাবে করোনা মুক্ত থেকেছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676134 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
সুসংবদ্ধ স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার গুরুত্ব কোভিডের সময় আরও বেশি প্রতিফলিত হয়েছে : ডঃ জিতেন্দ্র সিং
বিশিষ্ট ডায়াবেটোলজিস্ট ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, সুসংবদ্ধ স্বাস্থ্য পরিষেবার গুরুত্ব কোভিড মহামারীর সময় বেশি করে প্রতিফলিত হয়েছে। রিসার্চ সোসাইটি ফর দ্য স্টাডি অফ ডায়াবেটিস ইন ইন্ডিয়া – এর ৪৮তম বার্ষিক সম্মেলনে বৃহস্পতিবার অংশ নিয়ে ডঃ সিং বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের গুরুত্ব কোভিডের সময় জরুরি হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে ভারতীয় পরম্পরাগত চিকিৎসা-পদ্ধতিগুলির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তিনি আরও বলেন, প্রাক্-কোভিড সময়েও পরম্পরাগত ভারতীয় চিকিৎসা-পদ্ধতির উৎকর্ষতা প্রমাণিত হয়েছে। কোভিড মহামারীর সময় বহু অ্যালোপ্যাথিক পদ্ধতির বিশেষজ্ঞ রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে আয়ুর্বেদ ও যোগার উপকারিতার প্রতি গভীর আস্থা দেখিয়েছেন।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1676124 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য
• আসাম : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ০.৭২ শতাংশ।
• মহারাষ্ট্র : নবি মুম্বাই পুর নিগম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোভিড নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছে। নবি মুম্বাইয়ে কয়েকটি ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ পাওয়ায় কেন্দ্রের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
• গুজরাট : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১ হাজার ৫৬০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯০.৯৩ শতাংশ। রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫২৯। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯২২ জনের।
• রাজস্থান : রাজ্যে বৃহস্পতিবার আরও ৩ হাজার ১৮০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি সংক্রমণ ঠেকাতে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন।
• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে আজ থেকে করোনা টিকা কো-ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আইসিএমআর – এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যকে ১ হাজার টিকার ডোজ পাঠানো হয়েছে। এই টিকাগুলি আগামী ১০ দিন স্বেচ্ছায় আগ্রহীদের দেহে প্রয়োগ করে দেখা হবে।
• ছত্তিশগড় : রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমে ৫০ শতাংশ হয়েছে।
• কেরল : রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আজ সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে কোভিড-১৯ এ মৃত্যু হওয়া সমস্ত ঘটনাই লিপিবদ্ধ ও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ এবং আক্রান্তের হার ৯.৬ শতাংশ।
• তামিলনাডু : রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে ১২ হাজারের নীচে নেমেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার আরও ১ হাজার ৪৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
• কর্ণাটক : রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হার দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। কিন্তু ১১টি জেলায় করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। জাতীয় স্তরে করোনায় মৃত্যু হার বৃহস্পতিবার ১.৪৬ শতাংশ ছিল, সেখানে কর্ণাটকে এই হার ০.৭৯ শতাংশ।
• অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্যে বৃহস্পতিবার আরও ১ হাজার ৩১ জন করোনায় সংক্রমিত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৮ লক্ষ ৪৬ হাজারেরও বেশি।
• তেলেঙ্গানা : প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল হায়দরাবাদ সফরে এসে করোনা টিকা কো-ভ্যাকসিনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪টে নাগাদ হাকিমপেত বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অবতরণ করে সেখান থেকে সরাসরি শামীরপেত যাবেন, যেখানে ভারত বায়োটেক – এর গবেষণাগার রয়েছে। সূত্র – পিআইবি।