সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাওয়া ও শিশুদের জন্য অনাথ আশ্রম তৈরিতে গুরুত্ব আরোপ করলেন মোথাবাড়ি, কালিয়াচক , বৈষ্ণবনগর এলাকার কয়েকজন যুবক। শিশু দিবসে কালিয়াচকের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় অনাথ আশ্রম গড়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। অবিলম্বে তাঁরা এই উদ্দেশ্য সফল করতে চান। তাই দেরি না করে শনিবারই ছুটে যান ইংরেজবাজার শহরের নুনবহি এলাকার মিশনারিজ অব চ্যারিটি নির্মলা শিশুভবনে। সেখানে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন কর্তৃপক্ষ ও সিস্টারদের সঙ্গে , ছিলেন সিস্টার ফ্রানসিন, সিস্টার এডুইন প্রমুখ। যদিও করোনা ও শৃঙ্খলা জনিত কারনে অনাথ শিশুদের সঙ্গে তাদের সেই মুহূর্তে সাক্ষাৎ সম্ভব হয়নি। অনাথ আশ্রম তৈরি ও করনীয় প্রভৃতি জানেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। খুবই উৎসাহিত তাঁরা। কিছু সমস্যা রয়েছে, তা পথচলার মধ্যেই দূর হবে বলে জানিয়েছেন হায়দার আলি, সামিউল আহমেদ, নাসিরুল আক্তার, প্রসেনজিত ঘোষ দেবাশিস ঘোষরা। অনাথ আশ্রমই খোলার পাশাপাশি শিশুদের নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক কাজ করতে চান।
মোথাবাড়ি, কালিয়াচকের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় শিশুদের জলে ডুবে মৃত্যুর কথা হামেশায় শোনা যায়। পরিবারের অসাবধানাতার জন্য বহু ঘটনাগুলি ঘটে। জলে ডোবা , রেলিংহীন ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা যেমন মাঝে মধ্যেই ঘটতে থাকে, আবার রান্নাঘরে গিয়ে ফুটন্ত জল কিংবা উনুনে আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যুর খবরও শোনা যায়। অভিভাবক, অভিভাবিকাদের এ ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেশি করে সচেতনতা করতে চান। এবার শিশুদের জন্যই অনাথ আশ্রম তৈরির ভাবনা চিন্তা শুরু করতেউদ্যোগী হল যুবকরা। সামিউল আহমেদ, হায়দার আলি, জানান, ‘আপাতত মাদার টেরেজা অনাথ আশ্রমের নামকরণে আমাদের অনাথ আশ্রম খোলা হবে। জানি খুব কঠিন পথ, কিন্তু অসম্ভব নয়। এলাকাবাসীকেও আমাদের সঙ্গে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে। গোটা জেলাবাসীর সহযোগিতা চাই আমরা।’ এই যুবকদের উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি নির্মলা শিশুভবনের সিস্টার মহাশয়াগন।