মধ্যযুগীয় দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী/মুদ্রা পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের হাতে তুলে দিয়েছেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমণ আজ নতুন দিল্লির নর্থ ব্লকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শুল্ক দপ্তরের বাজেয়াপ্ত প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী/মুদ্রা পর্যটন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের হাতে তুলে দিয়েছেন।

এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর, অর্থ সচিব ডঃ অজয়ভূষণ পাণ্ডে, সিবিআইসি-এর চেয়ারম্যান শ্রী এম অজিৎ কুমার, কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ, সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিক বৃন্দ।

আরও পড়ুন -  Qatar World Cup Football-2022: বাকিরা কে কোথায়? নক আউটে ১০ দল

বাজেয়াপ্ত ৪০,২৮২টি মুদ্রার মধ্যে বেশ কিছু মুদ্রা ১২০৬ থেকে ১৭২০ খ্রীষ্টাব্দের সুলতানি ও মোঘল আমলের। এছাড়াও বেশ কিছু মুদ্রা কুশান, ইহুদি, গুপ্ত, চোল, রাজপুত, মোঘল, মারাঠা, কাশ্মীর, ব্রিটিশ শাসিত ভারত, ফরাসী সময়কালের। ১৮০০ থেকে ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের বেশ কিছু অস্ট্রেলিয়ান মুদ্রাও রয়েছে এর মধ্যে। বাজেয়াপ্ত সামগ্রীগুলির মধ্যে ১৮টি দুষ্প্রাপ্য স্ট্যাম্প/সিল, ধর্মীয় প্রতীক, রৌপ্য কোমরবন্ধ এবং অন্যান্য প্রত্নতাত্বিক সামগ্রিও রয়েছে।

আরও পড়ুন -  Web Series: এবার OTT প্ল্যাটফর্মে রিলিস হল সাহসী ওয়েব সিরিজ রোমান্সের ভরপুর, ১৮+ হলে তবেই দেখবেন

১৯৯৪ সালে ২১শে জুন দিল্লি বিমানবন্দরে শুল্ক দপ্তর তল্লাশি চালানোর সময় হংকং থেকে আসা দু’জন বিদেশী নাগরীকের কাছ থেকে এই দুষ্প্রাপ্য মুদ্রা, তামার স্ট্যাম্প/সিল, রৌপ কোমরবন্ধ এবং অন্যান্য দুষ্প্রাপ্য সামগ্রি বাজেয়াপ্ত করে। তাদেরকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে শহরের একটি বাড়ি থেকে বেশ কিছু সোনার মুদ্রা উদ্ধার হয় এবং সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়।

আইনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে ভারতীয় শুল্ক বিভাগ ভারতীয় প্রত্নতাত্ব সর্বেক্ষণকে এই বাজেয়াপ্ত দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী ও মুদ্রাগুলির মূল্য নির্ধারণের জন্য অনুরোধ জানায়। এর জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে এই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা করেছে। মোট ৪০,৩০১টি দুষ্প্রাপ্য সামগ্রীর মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৩.৯০ কোটি টাকা। এর পরে সিবিআইসি বাজেয়াপ্ত এই সামগ্রীগুলিকে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ-এর হাতে তুলে দেয়। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  সেতু