খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ নতুন প্রজন্মের যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক, সব রাজ্যগুলির প্রতি, তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে আরও নতুন প্রজন্মের বা নতুন ধারার পাঠক্রম চালু করার আর্জি জানিয়েছে। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ কর্মসূচীর সফল রূপায়ণে, পরিবর্তিত ডিজিটাল প্রযুক্তির চাহিদার প্রতি নজর দেওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক স্তরে রাজ্য এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা মেটাতে দক্ষতা বাড়ানোর প্রযোজনীয়তা রয়েছে।
গোটা দেশের, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের উন্নয়ন এবং সমন্বয় সাধনকারী,দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনস্থ শীর্ষ সংস্থা, প্রশিক্ষণ মহাপরিচালক(ডিজিটি), এই বিষয়ে সব রকম সম্ভাব্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করবে। রাজ্যগুলিকে নব প্রজন্মের পাঠক্রম তৈরি করার পাশাপাশি, এই সংস্থা প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে সব রকম সহযোগিতা করবে। এই লক্ষ্যে ডিজিটি, ইতিমধ্যেই ১৩টি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন যোগ্যতা কাঠামো(এনএসকিউএফ) চালু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ডেটা বিশ্লেষক ও গবেষক, টেকনিকাল মেকাট্রনিক্স, স্মার্ট এগ্রিকালচার,ক্লাউড কম্পিউটিং, প্রসেস অটোমেশান বিশেষজ্ঞ, ইউসার এক্সপিরিয়েন্স এবং অ্যাপ্লিকেশন ডেভালাপার্স, জিও ইনফর্মেটিক অ্যাসিস্টেন্ট, এআই এন্ড মেশিন লার্নিং স্পেশালিষ্ট, বিগ ডেটা স্পেশালিষ্ট, ইনফরমেশন সিকিউরিটি এনালিষ্ট, রবটিক্স ইঞ্জিনিয়ার এন্ড ই কমার্স এন্ড মিডিয়া স্পেশালিষ্ট প্রমুখ। এই দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পাঠক্রমগুলি ৬ মাস থেকে ২ বছরের হবে।
উৎপাদন এবং পরিষেবা প্রযুক্তি দ্রুত বদল ঘটছে। একই সঙ্গে যান্ত্রিক ও হস্তচালিত কাজ ক্রমাগত ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর হয়ে চলেছে। এই প্রযুক্তির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে আইটিআই গুলি, শ্রমিকদের দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করছে। শিল্প বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং সক্রিয় সহযোগিতায় এই পাঠক্রমকে আরও উন্নত করা হয়েছে। গত ১২ই জুন, ডিজিটির পক্ষ থেকে, প্রযুক্তি দক্ষতা শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান সচিবকে চিঠি দিয়ে,দেশের সমস্ত আই টি আই গুলিতে, নতুন প্রযুক্তির পাঠক্রম চালু করার অনুরোধ জানান হয়।
দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পদ্যোগমন্ত্রী ড: মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, এই উদ্যোগ বিষয়ে বলেন,প্রযুক্তির এই নতুন ধারা, কর্মসংস্থানের ধারাতেও বদল এনেছে। সেই দিকেই নজর দিয়ে,এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, শিল্পক্ষেত্রে ভবিষ্যতের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজন। চলতি প্রশিক্ষণ কাঠামো বদল করে, মূলত যে বিষয়ে জোর দিতে হবে, সেগুলি হলো ডেটা এনালিটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, ব্লকচেন প্রমুখ।
শিল্পের চাহিদা এবং সাম্প্রতিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণের জন্যে ডি জি টি, আইবিএম ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, এসএপি ইন্ডিয়া, মাইক্রোসফট কর্পোরেশন (ইন্ডিয়া)লিমিটেড,ন্যাসকম,কয়েস্ট এলায়েন্স,অক্সেনচর এবং সিস্কোর মতন একাধিক প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর করেছে। এই সমঝোতাপত্রের মাধ্যমে গোটা দেশজুড়ে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। সূত্র – পিআইবি।