খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় উত্তর – পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কর্মীবর্গ, গণঅভিযোগ ও পেনশন, আণবিক শক্তি এবং মহাকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং আজ “কোভিড পরবর্তী মূলধনী বাজারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন“ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের উদ্বোধন করেছেন। নতুন দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানী সেক্রেটারিয়েটস অফ ইন্ডিয়া (আইসিএসআই – এনআইআরসি) এই ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে।
ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং জানান, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগ্য নেতৃত্বে কোভিড পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত, বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। তিনি বলেন, দ্রুত লকডাউন কার্যকর করার জন্য এবং ভারত সরকারের গৃহীত প্রাক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বহু মানুষের জীবনহানী রক্ষা করা গেছে। এতে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতিও রোধ করা গেছে। লকডাউন সময় আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অনেক কিছু শিখিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই প্রতিকূলতা আমাদের সকলের কাছে একটি সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে শ্রী সিং জানান।
ভারতীয় অর্থনীতিতে উত্তর – পূর্বাঞ্চলের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে ড. সিং বলেন, কোভিড – ১৯ এর পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির বিকল্প হিসেবে এই অঞ্চল উঠে এসেছে। সময় মতো লকডাউন জারির ফলে উত্তর – পূর্বাঞ্চলে কোভিড – ১৯ এর সংক্রমণ বেশি প্রসারিত হতে পারে নি।
তিনি আরো বলেন, কোভিড – ১৯ পরবর্তী সময়ে উত্তর – পূর্বাঞ্চল ভারতের অন্যতম বাণিজ্যক গন্তব্য স্থল হিসাবে উঠে আসবে। এই উত্তর – পূর্বাঞ্চলে কর্মকান্ডের অন্যতম মূল স্তম্ভ হল বাঁশ ভিত্তিক অর্থনীতি। ড. সিং বলেন, দেশের উত্তর – পূর্ব সহ সমগ্র অঞ্চলের অর্থনীতির বিকাশে এই ক্ষেত্র বিশেষ সহায়তা প্রদান করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কোভিড – ১৯ পরবর্তী সময়ে উত্তর – পূর্বাঞ্চল ভারতীয় অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন এবং নতুন চালিকা শক্তি হিসাবে উঠে আসবে।
দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে একাধিক সংস্থার সচিবদের ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি। এদিনের ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলি ভারতীয় অর্থনীতির দিশা পরিবর্তনে সহায়তা প্রদান করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আজকের ওয়েবিনারে আইসিএসআই – এর সভাপতি সি এস আশীষ গর্গ, সংস্থার চেয়ারম্যান শ্রী সুরেশ পান্ডে সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র – পিআইবি।