এনটিপিসি-র মাউদা উৎপাদন কেন্দ্রের ছাই রেল রেকে করে সিমেন্ট উৎপাদন কারখানাগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ জ্বালানীর অবশিষ্ঠাংশ হিসেবে পড়ে থাকা ছাই –এর পূর্ণ সদ্বব্যাবহারের লক্ষ্যে এনটিপিসি-র মাউদা উৎপাদন কেন্দ্র তাদের উৎপাদিত ছাই রেল রেকে করে সিমেন্ট উৎপাদন কারখানাগুলিতে পৌঁছে দিচ্ছে। এনটিপিসির এই কেন্দ্র থেকে কর্ণাটকের কালবুর্গিতে রাজশ্রী সিমেন্ট কারখানায় ৫১টি রেল ওয়াগনের সাহায্যে ৩১৮৬ মেট্রিকটন পোড়া ছাই সরবরাহ করা হয়েছে। এর ফলে এনটিপিসি-র মাউদা উৎপাদনকেন্দ্রটি মহারাষ্ট্রের প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বিপুল পরিমাণ পোড়া ছাই সিমেন্ট উৎপাদন কারখানায় পৌঁছে দিতে পেরেছে।

আরও পড়ুন -  Katrina Kaif: দু‘বছরে নেই সুখবর, মা হতে না পারায় ক্যাটরিনার উপরে চাপ ভিকির পরিবারের!

২০১৯ – ২০ অর্থবর্ষে এনটিপিসি-র মাউদা কেন্দ্রে প্রায় ২৩ লক্ষ ৫৭ হাজার মেট্রিকটন ছাই বিভিন্ন উৎপাদনমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে এনটিপিস-র এই উৎপাদন কেন্দ্রটিতে বার্ষিক ছাই উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২৪ – ২৫ লক্ষ মেট্রিকটন। বর্তমানে এই উৎপাদন কেন্দ্রের পোড়া ছাই-এর ১০০ শতাংশই সিমেন্ট ও ছাই থেকে নির্মীত ইট উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  ১৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি, ‘বীরত্ব', ইমন-সালওয়ার

এনটিপিসি, তার বিভিন্ন উৎপাদন কেন্দ্র থেকে তৈরি হওয়া ছাইয়ের ১০০ শতাংশ সদ্বব্যবহারের লক্ষ্যে সিমেন্ট উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।

এনটিপিসি-র ৭০টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৬২.৯ গিগাওয়াট। উৎপাদন কেন্দ্রগুলির মধ্যে ২৪টি কয়লাভিত্তিক, ৭টি গ্যাস বা তরল জ্বালানীভিত্তিক, ১টি জলবিদ্যুৎ, ১৩ টি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিভিত্তিক এবং ২৫টি যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও এনটিপিসি-র আরো ২০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে। এই ২০ গিগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে ৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি হিসেবে উৎপাদন করা হবে। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য ঝিঙে - লাউশাক - পোস্ত বানানোর রেসিপি