খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েল্থ সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও) –এর সঙ্গে যৌথভাবে অটল ইনোভেশন মিশন (এআইএম) ৭ ও ৮ই ডিসেম্বর সার্কুলার ইকোনমি বা বৃত্তীয় অর্থনীতির উপর ২ দিনের হ্যাকাথন আয়োজন করতে চলেছে। ইন্ডিয়া – অস্ট্রেলিয়া সার্কুলার ইকোনমি হ্যাকাথন (আই-এসিই) – এর সিদ্ধান্ত চৌঠা অক্টোবর ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকে গৃহীত হয়। দুটি দেশের বৃত্তীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে উদ্ভাবনমূলক বিভিন্ন পন্থা – পদ্ধতি এই হ্যাকাথন থেকে পাওয়া যাবে।
দুটি দেশের উজ্জল ছাত্র – ছাত্রী, নতুন উদ্যোগ সংস্থা এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি শনাক্ত করবে – এই হ্যাকাথনের সেটিই মূল উদ্দেশ্য। এখানে মূলত চারটি বিষয়ের উপর কাজ হবে।
১) প্যাকেজিং করার সময় প্যাকেজিং পদার্থ কম নষ্ট করার ক্ষেত্রে উদ্ভাবন
২) অপচয় এড়ানোর জন্য খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে উদ্ভাবন
৩) প্লাস্টিক নষ্ট করা কমাতে নতুন নতুন সুযোগ উদ্ভাবন
৪) গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানী পদার্থ এবং বৈদ্যুতিন বর্জ্য পদার্থের পুর্নব্যবহার
ছাত্র – ছাত্রী এবং নতুন উদ্যোগ / অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলির থেকে বাছাই করে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে এই হ্যাকাথনে আহ্বান জানানো হবে। প্রত্যেক দেশের প্রত্যেক বিষয়ের ওপর ২ জন বিজয়ীকে (একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে এবং একটি নতুন উদ্যোগ / অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থা) ১১ই ডিসেম্বর পুরস্কৃত করা হবে।
এই হ্যাকাথনের সূচনা করে এআইএম মিশন ডিরেক্টর ও নীতি আয়োগের অতিরিক্ত সচিব আর রামানন্দ জানিয়েছেন, বৃত্তীয় অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে অপচয় বন্ধ করা এবং বর্জ্য পদার্থের পুর্নব্যবহারের উপর সমাধান খুঁজে বের করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিএসআইআরও-র জমি ও জল শাখার প্রধান মিঃ পল বারটশ বলেছেন, আগামী দিনে মানব জাতির ইতিহাসে যে সব চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে, সেগুলির মোকাবিলা করতে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া একযোগে কাজ করতে পারে। সিএসআইআরও-র প্রবীণ বিজ্ঞানী ড. হেইন্জ শানডল বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতিতে বৃত্তীয় ইকোনমির ফলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতির উন্নয়ন হবে। নীতি আয়োগের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শ্রী অমিতাভ কান্ত বলেছেন, বৃত্তীয় অর্থনীতির জন্য স্থিতিশীল একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
ভারতীয় বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীরা ২ লক্ষ টাকা এবং নতুন উদ্যোগ / অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থা ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার পাবে। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে এই পুরস্কার যথাক্রমে ৩৫০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং ৯৫০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। বিজয়ীদের উদ্ভাবনগুলির আরো বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেওয়া হবে। এই হ্যাকাথনে অংশ গ্রহণের জন্য প্রস্তাব জমা দেবার শেষ তারিখ ৬ই নভেম্বর। উৎসাহীরা http://aimapp2.aim.gov.in/iace/ -এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। সূত্র – পিআইবি।